আন্তর্জাতিক ‘কলরেট’ কমল

আন্তর্জাতিক টেলযোগাযোগে ‘ইনকামিং কল টার্মিনেশন রেট’ কমিয়ে আনার পাশাপাশি গেটওয়েগুলোর সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2014, 03:01 PM
Updated : 18 Sept 2014, 03:12 PM

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ এ বিষয়ে একটি নোটিস জারি করে।

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটের সর্বনিম্ন রেট শূন্য দশমিক শূন্য তিন (০.০৩) মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক শূন্য এক পাঁচ (০.০১৫) ডলার করা হয়েছে।

আর এই কল থেকে যে রাজস্ব আয় হবে তার ৪০ শতাংশ বিটিআরসি, ২০ শতাংশ ইন্টারন্যাশনাল গেইওয়ে প্রতিষ্ঠান (আইজিডব্লউ), ১৭.৫ শতাংশ ইন্টারকানেকশন এক্সচেইঞ্জ প্রতিষ্ঠান (আইসিএক্স) এবং ২২.৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের অপারেটর বা এক্সেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস (এএনএস) পাবে।

আগে রাজস্ব ভাগাভাগির এই হার ছিল বিটিআরসি ৫১.৭৫ শতাংশ, আইজিডব্লউ ১৩.২৫ শতাংশ, আইসিএক্স ১৫ শতাংশ এবং এএনএস ২০ শতাংশ।

বিদেশ থেকে আসা প্রতিটি কল দেশে ঢোকে আইজিডব্লউর মাধ্যমে। তারপর আইসিএক্স এর মাধ্যমে তা সংশ্লিষ্ট অপারেটর বা এএনএসে পৌঁছায়। অপারেটর গ্রাহকের ফোনে কলটির সংযোগ দেয়।   

বিটিআরসির নোটিসে বলা হয় ‘এই রেডিনিউ শেয়ারিং মডেল’ অস্থায়ী ও পরীক্ষামূলকভাবে ছয় মাসের জন্য কার্যকর করা হয়েছে।

পরীক্ষামূলক সময়ের পর কলের সংখ্যা এবং রাজস্ব আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

অবৈধ ভিওআইপি বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক কলরেট কমিয়ে আনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় বিটিআরসি। তা অনুমোদন পাওয়ার পর এই নোটিস জারি করা হলো। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক কলরেট বেশি হওয়ায় অবৈধ ভিওআইপির মাধ্যমে অনেক বেশি কল দেশে আসে। ফলে সরকার ও সংশ্লিষ্টরা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।

গত বছর মার্চ মাসে দেশে আন্তর্জাতিক কল আসার পরিমাণ ছিল ১৩১ কোটি মিনিটের বেশি।