ডিএসইর লেনদেন ১২ শ’ কোটি ছাড়াল

সপ্তাহের শেষ দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা সাড়ে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2014, 12:19 PM
Updated : 18 Sept 2014, 02:25 PM

এর আগে সর্বশেষ গত বছর ৯ জুলাই এর চেয়ে বেশি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল ডিএসইতে; সেদিন লেনদেন হয়েছিল ১২৯৫ কোটি টাকার শেয়ার।

এদিন ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৬ পয়েন্ট হয়েছে।

আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসইএক্স ১৪৬ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৮১ পয়েন্ট।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা; হাতবদল হয়েছে ৭৭ কোটি টাকার শেয়ার।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২০০টির দাম বেড়েছে; কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে যোগ হয়েছে ১৯০ পয়েন্ট। গত তিন সপ্তাহে এ সূচক ২৮৮ পয়েন্ট বেড়েছে।

এ সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৯২০ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৪৭ কোটি টাকা বেশি।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের গড়ে লেনদেন ছিল ৫৭৩ কোটি টাকা; সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছিল ৩৪ পয়েন্ট। তার আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্সে যোগ হয় ৬৪ পয়েন্ট। আর গড় লেনদেন ছিল ৫৪০ কোটি টাকা।

সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত আড়াই মাস ধরেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বাড়ছে।

২০১৪ সালের শুরুতে সূচক ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টে ওঠার পর জুনে তা ৪ হাজার ৩০০ পয়েন্টে নেমে আসে। গত আড়াই মাসে তা আবার বেড়ে ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ওপরে এসেছে।

২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল প্রায় ৯ হাজার পয়েন্ট। ব্যাপক ধাসের পর ২০১২ সালের শেষে তা ৪ হাজার ২০০ পয়েন্টে নেমে আসে। সেই ধস ২০১৩ সালেও অব্যাহত থাকে। ডিএসইর সার্বিক সূচক ৪ হাজার ২৬৬ পয়েন্ট নিয়ে ওই বছর শেষ করে।

ফিনিক্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কাদির চৌধুরীর মতে, ব্যাংকগুলোর সুদের হার কমে যাওয়ায় মানুষ বেশি লাভের আশায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে।

“দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে এবং পুঁজিবাজার ছাড়া অন্য কোথাও বিনিয়োগের তেমন সুযোগ নেই। তাই পুঁজিবাজার নতুন বিনিয়োগ আসছে বলেই মনে হচ্ছে।”

২০১০ সালের শেষ দিকে ঢাকায় দৈনিক গড়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও পরের বছর তা নেমে আসে ৬৬৪ কোটি টাকায়। ২০১২ সালে দৈনিক গড় লেনদেন আরও কমে ৪২১ কোটি এবং ২০১৩ সালে ৪০০ কোটিতে নেমে আসে।

এ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার শেয়ারবাজারে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি টাকার মতো।