বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ প্রতি বছর স্বল্প পরিমাণে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করলেও বড় পরিসরে সিদ্ধ চাল রপ্তানি এই প্রথম।
বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, “দেশে বর্তমানে ১১ লাখ মেট্রিক টন চালের মজুদ আছে। শ্রীলঙ্কা বন্ধুপ্রতিম দেশ। আমরা ‘টেস্ট কেইস’ হিসাবে এটা নিলাম।”
আন্তর্জাতিক বাজারের দর মাথায় রেখে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনা করে এই ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালের দাম ঠিক করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
‘পর্যাপ্ত’ মজুদ থাকায় এই রপ্তানির ফলে দেশে চালের কোনো সংকট তৈরি হবে না জানিয়ে মুহিত বলেন, আরো মজুদ থাকলে পরে অন্য দেশে বিক্রির বিষয়ে ভাবা হবে।
অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এই বৈঠকে অংশ নেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাই কমিশন সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জি টু জি পর্যায়ে (সরকার থেকে সরকার) সিদ্ধ চাল আমদানির এই প্রস্তাব দেয়। কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে চাল আমদানি করতে চায় দেশটি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত অগাস্ট পর্যন্ত সরকারি ভাণ্ডারে ১১ লাখ মেট্রিক টন চালের মজুদ ছিল, যা গত বছরের ওই সময় থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন বেশি।
বাংলাদেশে চালের উৎপাদন ও সরকারি গুদামে মজুদ পর্যালোচনা করে খাদ্য অধিদপ্তর ৫০ হাজার থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিল।