অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলের ১৮ দফায় বলা হয়েছে, আইসিবির অনুমোদিত শেয়ার মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা, যা ১০ টাকা মূল্যের ১০০ কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত থাকবে।
তবে সরকার সময়ে সময়ে শেয়ার মূলধন বাড়াতে পারবে।
এই মূলধনের মধ্যে ২৭ শতাংশ সরকারিভাবে, ২৪ শতাংশ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এবং ৪৯ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি ও জনসাধারণের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান, একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাতজন পরিচালক নিয়ে কর্পোরেশনের বোর্ড গঠিত হবে।
তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালককে মনোনীত করবে সরকার। চারজন পরিচালক শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
আর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী হবেন।
বোর্ডের কাজে সহযোগিতা করার জন্য পাঁচজন পরিচালকের সমন্বয়ে একটি নির্বাহী কমিটি থাকবে, যে কমিটির সদস্যদের মেয়াদ বোর্ড নির্ধারণ করবে।
বিলের ১৬ দফায় বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এবং ডিপোজিট আইন ১৯৯৯ অনুযায়ী ব্যবসা, লেনদেন ও কাজ পরিচালনা করতে পারবে কর্পোরেশন।
এই বিলে জাতীয় পার্টির এম এ হান্নানের দেয়া একটি সংশোধনী প্রস্তাব সংসদে গ্রহণ করা হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, সব কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করতে সিটিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আদেশ বাস্তবায়নের জন্যই এ আইন সংশোধন।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আইসিবি আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।