সিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওয়েবসাইটে নজরদারি বাড়ছে

বিনিয়োগকারীদের জন্য তথ্য সরবরাহ বাড়াতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটে নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসেন ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 12:01 PM
Updated : 15 Sept 2014, 12:01 PM

সোমবার সিএসইর ঢাকার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওয়েবসাইট আপডেট আছে কি-না তা যাচাই করে বিএসইসিকে জানানোর দায়িত্ব দুই স্টক এক্সচেঞ্জের। তবে আগে আমরা এ বিষয়ে সিরিয়াস ছিলাম না। এখন এ বিষয়ে আমরা সিরিয়াস হবো।”

একইসঙ্গে সিএসইর ওয়েবসাইটেকে আরো তথ্যবহুল করা হবে বলে জানান তিনি।

সৈয়দ সাজিদ বলেন, “অনেক লিস্টেড কোম্পানি আছে, যাদের ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য নেই। কিন্তু আইন অনুযায়ী তথ্য থাকতে হবে। ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য থাকা জরুরি। কারণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কে আছেন, পরিচালনা পর্ষদে কারা আছেন, তারা কতটুকু দক্ষ- এসব তথ্য দেখে এবং যাচাই করে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা উচিত। এ জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওয়েবসাইট আপডেট থাকা উচিত।”

‘ইনভেস্টর অ্যাওয়ারনেসের’ জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) নামে প্রতিষ্ঠানটিকে কার‌্যকর করতে সরকারের পক্ষ থেকে সিএসইর কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

২০১০ সালে এর বড় ধরনের ধসের পর এ মুহূর্তে দেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে মনে করেন সৈয়দ সাজিদ হোসেন।

  “লেনদনে মাঝে মাঝে ভালো হচ্ছে, আবার কমছে, তারপরও বর্তমানে বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।”

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুযায়ী গত আড়াই মাস ধরে সূচক বাড়ছে।

২০১৪ সালের শুরুতে সূচক ৪৭০০ পয়েন্টে ওঠার পর জুনে তা কমে ৪৩০০ পয়েন্টে আসে। পরে গত আড়াই ধরে সূচক বেড়ে ৪৭০০ আবার পয়েন্টে আসে।

২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল প্রায় ৯ হাজার পয়েন্ট। ২০১২ সালের শেষে তা নেমে আসে ৪২০০ পয়েন্টে।

সেই ধস ২০১৩ সালেও অব্যাহত থাকে। পরিবর্তিত ডিএসই সার্বিক সূচক ৪২৬৬ পয়েন্ট নিয়ে ওই বছর শেষ হয়।

২০১০ সালের শেষ দিকে দৈনিক গড়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হলেও পরের বছর তা নেমে আসে ৬৬৪ কোটি টাকায়।

২০১২ সালে দৈনিক লেনদেন আরও কমে ৪২১ কোটি, ২০১৩ সালে ৪০০ কোটির আশপাশে দাঁড়ায়।

এ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর‌্যন্ত ঢাকার শেয়ারবাজারে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ।

সৈয়দ সাজিদ হোসেন বলেন, “পুঁজিবাজারের সূচক দেখে বিনিয়োগ করা ঠিক নয়। বিনিয়োগকারী যে শেয়ার কিনবে তার ওপর ভিত্তি করে এবং গুনাগুন বিচার করে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করতে হবে ।”