সাংসদ দিদারুল আলমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে রোববার সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “সারাদেশে গার্মেন্টস শিল্পে ৪৫ লাখেরও বেশি শ্রমিক কর্মরত আছে।”
একই দিন নুরজাহান বেগমের আরেক লিখিত প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে জানান, গার্মেন্ট সেক্টরে ৩৫ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করছেন।
দুই মন্ত্রীর দেয়া তথ্যে পোশাককর্মীদের সংখ্যার ব্যবধান ১০ লাখ। কোনো মন্ত্রীই বাংলাদেশের পোশাককর্মীদের সঠিক পরিসংখ্যান দিতে পারেননি।
একই প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তৈরি পোশাক থেকে মোট রপ্তানির ৮১ শতাংশ অর্জিত হয়।
পোশাক খাতের শ্রমিকদের আবাসনের জন্য ‘ডরমিটরি’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
‘পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের মধ্যে মজুরি বৈষম্য নেই’ দাবি করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী চুন্নু বলেন, “আমাদের দর্শন হল নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমকাজের জন্য সমমজুরি।”
কোনো কারখানায় পুরুদের চেয়ে নারী শ্রমিকদের কম মজুরি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।