বুধবার কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) তিন দিনব্যাপী কাউন্সিল সভা শেষে হোটেল র্যাডিসনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
থ্রিজির পর ফোরজি বা এলটিই প্রযুক্তি কবে নাগাদ আসছে জানতে চাইলে বোস বলেন, ২০১১ সালে বলা হয়েছিল বাংলাদেশ থ্রিজির জন্য প্রস্তুত হয়নি। আবার থ্রিজি যখন এলো তখন বলা হলো- পাঁচ বছর আগেই এ প্রযুক্তি চালু করা উচিত ছিল।
“থ্রিজি ছেড়ে দেয়ার পর ছয় মাস যেতে না যেতেই তারা (অপারেটরা) বলেছে- অবিক্রিত তরঙ্গ থেকে আরো পাঁচ মেগাহার্টজ করে নেয়া যায় কি না।”
বিটিআরসির চেয়ারম্যানের মতে, থ্রিজি ব্যবসায় অল্প সময়ে ‘অনেক অগ্রগতি’ দেখেই অপারেটরা আরো বেশি তরঙ্গ পেতে আগ্রহী হয়েছে।
তবে কোন কোন অপারেটর এই আগ্রহ দেখিয়েছে, অবিক্রিত ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ তাদের দেয়া হবে কিনা- সে বিষয়ে কিছু বলেননি সুনীল কান্তি বোস।
গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত থ্রিজি তরঙ্গের নিলামে অংশ নিয়ে গ্রামীণ ফোন ১০ মেগাহার্টজ এবং বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল পাঁচ মেগাহার্টজ করে থ্রিজি তরঙ্গ কিনে নেয়। কিন্তু তিনটি স্লটে ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনতে কোনো অপারেটর আগ্রহী না হওয়ায় মোট তরঙ্গের ৩৮ শতাংশই অবিক্রিত থেকে যায়।
সে সময় বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিক্রি না হওয়া ওই তিনটি স্লটের বিষয়ে সরকার পরে সিদ্ধান্ত নেবে।
ওই নিলামে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলার দরে সরকারের মোট আয় হয় ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে চলতি বছর জুলাই মাস পর্যন্ত থ্রিজি গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে।