শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন তৈরির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশে টেক্সটাইল, চামড়া, পেট্রো-কেমিক্যাল, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ, কৃষিনির্ভর শিল্প, হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ (পোটেনশিয়াল) রয়েছে।
“তবে গাড়ি নির্মাণ শিল্প ও মাইক্রো প্রসেসরের মত উচ্চ প্রযুক্তি খাতে জাপানি বিনিয়োগ বিশেষভাবে প্রত্যাশা করছি আমরা। আমরা অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদ্বারিত্ব নীতিও গ্রহণ করেছি।”
বৈঠকের সময় ব্যবসায়ী দলের সঙ্গে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ‘পরবর্তী সম্ভাব্য বিনিয়োগের স্থান’ হিসেবে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়ায় জাপানি বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
“জিডিপির আকার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সূচকে বাজার অর্থনীতি কাঠামোর মধ্যে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৪তম। এখানে দ্রুত মধ্যবিত্ত শ্রেণি বাড়ছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোগ্যপণ্য ও সেবার চাহিদাও বাড়ছে।”
জাপানি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের বিপুল তরুণ শ্রমশক্তি, তুলনামূলক কম মজুরি, নানা ধরনের বিনিয়োগ প্রণোদনা এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উদার বৈদেশিক বিনিয়োগ সুবিধার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
“এখানে আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষিত করা হয়েছে এবং স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বৈষম্যহীনতাও নিশ্চিত করা হয়েছে।”