দেড় বছর সংস্কার কাজ শেষে ২০১৬ সালে নতুন আঙ্গিকে আবার চালু হবে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এই হোটেল। তখন এর নাম হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল।
হোটেলের মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান শহিদুস সাদিক জানান, সোমবার দুপুরে সব অতিথিকে বিদায় দিয়ে ‘রূপসী বাংলা’ বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গতরাতে আমাদের হোটেলে ৪২ জন দেশি-বিদেশি অতিথি ছিলেন। আজ দুপুর ১২টার মধ্যে তারা বিদায় নিয়ে চলে যান।”
রূপসী বাংলার নিজস্ব ওয়েবসাইটেও (ruposhibanglahotel.com) সংস্কারের কথা জানিয়ে একটি নোটিস দিয়ে বাকি সব কনটেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এখন থেকে ‘রূপসী বাংলা’ থাকবে কেবল নামফলকে। সংস্কার কাজ শেষে সেখানেও লেখা দেখা যাবে ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল’।
সাদিক বলেন, “আন্তর্জাতিক হোটেল চেইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল এখনো এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। তবে তাদের নামে এতোদিন হোটেল পরিচালিত হচ্ছিল না।”
সংস্কারের পরও হোটেলের মালিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে যাবে। থাকবেন হোটেলের বর্তমান কর্মীরাও।
এই সংস্কার কাজে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা।
পাঁচ দশকের পুরনো এ হোটেলটির ব্যবস্থাপনায় আবারো ফেরার জন্য ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপ, যে গ্রুপটি ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত এ হোটেলের ব্যবস্থাপনায় ছিল।
ওই সময় থেকে রূপসী বাংলা নাম নিয়ে নতুন করে চালু হয় বাংলাদেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই হোটেল।
রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হোটেলটি ১৯৮১ সালে সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু সংস্কার হলেও আন্তর্জাতিক ফাইভ স্টার মানে তোলার জন্য বেশকিছুদিন ধরেই বৈশ্বিক হোটেল পরিচালন কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে তাগাদা আসছিল।
অতিথিদের জন্য রূপসী বাংলায় বর্তমানে ২৭২টি বিভিন্ন ধরনের কক্ষ রয়েছে, যার প্রতিটির গড় আয়তন ২৪ থেকে ২৬ বর্গমিটার।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ফাইভ স্টার হোটেলের আন্তর্জাতিক মান রক্ষার জন্য সংস্কারের মাধ্যমে কক্ষগুলো বড় করা হবে। ফলে কক্ষসংখ্যা কমে হবে ২৩০টি। এছাড়া আসবাব, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়ামের আধুনিকায়নসহ অন্যান্য সেবাও যুক্ত করা হবে।