‘চার লাখ শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট শিক্ষা দেয়া হচ্ছে’

দেশের চারশ’টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে গুগলের সহায়তায় ইন্টারনেট সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2014, 03:43 PM
Updated : 24 August 2014, 03:43 PM

শনিবার বিকালে দৈনিক ইত্তেফাক ও স্টার্টআপ ঢাকা আয়োজিত ‘সিলিকন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গুগলের সহায়তায় ৪০০ স্কুলে চার লাখ শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট সম্পর্কিত জ্ঞানদানের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

“উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে যাতে ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। প্রতিমাসে ৪০ হাজার সাধারণ জনগণ ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো থেকে সেবা নিচ্ছে।

“সরকারি ২৫ হাজার ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। সব মিলে তথ্যপ্রযুক্তি ও সেবা মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যাতে ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। ৫৫ হাজার ফ্রি-ল্যান্সার তৈরির কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।

“পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি হতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। সবাই মিলে কাজ করলে একদিন সিলিকন বাংলাদেশ তৈরি হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান এবং গুগল ডেভেলপমেন্টের প্রধান বিকি রাসেল।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিগ ডাটা পার্টনারশিপ যুক্তরাজ্যের প্রধান পরামর্শক ক্রিশ্চিয়ান প্রকপ।

দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক তারিন হোসেইনের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরো আলোচনা করেন বিসিএস সভাপতি মাহফুজুল আরিফ, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, ওকে মোবাইলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান, স্টার্টআপ ঢাকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাইয়াজ তাহের, ফ্রিল্যান্স-ওডেস্কের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান, টিম ইঞ্জিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জুবেরী হিমিকা, এটুআই এর যোগাযোগ কর্মকর্তা হাসান বেনাউল ইসলাম প্রমুখ।

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, “দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক, এনবিএফআই কিংবা তাদের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়াতে পারে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তবে এক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

“ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিকে দুইবার ট্যাক্স দিতে হয়। এবিষয়ে একটি সমাধান প্রয়োজন। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির জন্য আমাদের দেশে কোনো আইন নেই। উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে ভেঞ্চারের গুরুত্ব বিবেচনায় এ সংক্রান্ত আইন করা প্রয়োজন।”

দেশের সবচেয়ে মেধাবীদের ৮০ ভাগ বিদেশে চলে যায় উল্লেখ করে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মেধা ও পুঁজি দেশে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার ওপর জোর দেন বেসিস সভাপতি।