বৃহস্পতিবার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অ্যাসোশিয়েসন-বায়রার এক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে জনশক্তি রপ্তানিতে এই সংগঠনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন মন্ত্রী।
ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনায় জনশক্তি রপ্তানিতে বায়রার সদস্যদের অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “আপনারা ৬/৭ লাখ টাকা নিয়ে একেক জনকে বিদেশে পাঠাচ্ছেন। কয় টাকা আপনি পাচ্ছেন? সব টাকা তো দিয়ে দিচ্ছেন বিদেশি দালালদের।
“মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর জন্য ৭০ হাজার টাকা আর মালয়েশিয়ায় ৭৫ হাজার টাকা ফি বায়রাই নির্ধারণ করেছে। আপনারা কয়জন এ টাকায় শ্রমিক পাঠিয়েছেন?”
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, “এখানে বক্তব্য দিতে এসে একজন বললেন, মালয়েশিয়াতে নাকি দুই লাখ লোক পাঠাবেন। আপনার কাছে কি ওহি নাজিল হয়েছে? ডিমান্ড না থাকলে কিভাবে পাঠাবেন, নকল কাগজ তৈরি করে ইলিগ্যালি?
“আপনাদের এক নেতা বললেন, আপনারা নাকি ১০ লাখ শ্রমিক পাঠাতে পারতেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইকোনোমিক ডিপ্রেশন চলছে, এ অবস্থায় আপনারা কিভাবে পাঠাতেন? অবৈধভাবে?”
তিনি বলেন, “আপনাদের কথা শুনে মনে হলো, এ আইন বানিয়েছে কোনো এক বদমায়েশ। একজন বললেন সরকার নাকি আপনাদের হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দিয়েছে। আর বাকীরাও তোতা পাখির মতো তা বলতে থাকলেন। একজনও বলতে পারলেন না আইনের কোন জায়গায় সমস্যা।
“তবে কি আপনাদের কথা শুনে দেশের মানুষকে বিক্রি করে দেবো, ক্রীতদাস বানাবো। আপনারা যতই সংখ্যার কথা বলেন, জেনে শুনে আমরা মানুষ বিক্রি করতে পারবো না।”
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সুযোগ দেয়ার সুপারিশেরও সমালোচনা করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “দেশের মানুষকে টাকার জন্য বিক্রি না করে দিয়ে মর্যাদাশীল অভিবাসন করুন। দালাল দিয়ে ব্যবসা করবেন না।”
অবৈধ ভিসা বাণিজ্যে জড়িত বায়রা সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে সংগঠনের নেতাদের অনুরোধ জানান তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেন, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শামছুন নাহার, বায়রার সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক সভাপতি নূর আলী বক্তব্য রাখেন।