চাল, তেল, লবণ, মাছ ও মাংসসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবেশি অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন খুঁচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি হালি ফার্মের মুরগীর ডিমের দাম ৫ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকায়, প্রতি কেজি আমদানি করা মশুর ডালের দাম ৫ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকায় এবং কেজিপ্রতি আদার দাম ১০ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আমদানি করা পেঁয়াজের দামও একই ছিল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাজারে দাম বাড়ার প্রভাবের সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবহন খরচও বেড়েছে।
জুন মাসের শেষ ভাগে দু’দফা পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বৃদ্ধি করে ভারত সরকার। প্রথমে প্রতিটন পেয়াজের রপ্তানি মূল্য ন্যূনতম ১৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩০০ ডলার করে। এক সপ্তাহ পরে তা আরো বাড়িয়ে ৫০০ ডলার নির্ধারণ করে।
এরপর থেকে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। পুরো রমজান জুড়ে বাড়তি দরেই বিক্রি হয়েছে এই পণ্যটি।
শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ৎ বণিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাঈদ পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে বলেন, “বর্ষার কারণে পরিবহণ খরচ বেশি পড়ছে। আবার মালও নষ্ট হচ্ছে। এসব কারণে দাম একটু বাড়তির দিকে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।
“আমাদের দেশে পেঁয়াজের দাম বেশি একথা বলা ঠিক হবে না। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের বাজারে দাম কম।”
শুক্রবার ৩২ থেকে ৩৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগীর দাম। এক সপ্তাহ আগেও এসব ডিমের দাম ছিল ২৭ থেকে ৩০ টাকা।
তুরস্ক ও কানাডা থেকে আমদানি করা মাঝারি মানের মশুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর এসব দেশের বড় দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।
গত সপ্তাহে এসব ডাল প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এবিষয়ে ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, “বন্দর থেকে মাল আনতে খরচ বেড়েছে। তাছাড়া এখন মৌসুমও শেষ। এই কারণে দাম বেড়েছে।”
এদিকে প্রতিকেজি আদা দাম মানভেদে ১৫০ টাকা থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। গত সপ্তাহের এর দাম ছিল সর্বোচ্চ ২২০ টাকা।