ভিড় এড়াতে গভীর রাতে কেনাকাটা

ঈদ এগিয়ে আসায় যানজট এড়িয়ে কেনাকাটা করতে রাতেও প্রচুর ক্রেতা ভিড় করছেন রাজধানীর বিপণী কেন্দ্রগুলোতে।

গোলাম মুজতবা ধ্রুববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2014, 07:31 PM
Updated : 26 July 2014, 06:20 AM

আর তাই শুক্রবার রাত ১১টার পরও রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড, আজিজ সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডি ও সাইন্সল্যাবরেটরিতে ঘুরে দেখা গেছে কেনাকাটার দৃশ্য।

ব্যাপক আলোকসজ্জার পাশাপাশি এসব বিপণী সংলগ্ন সড়কে গভীর রাতেও ছিলো যানবাহনের ভিড়। হাতে নতুন পোশাক নিয়ে সড়ক পার হতে দেখা গেছে অনেককেই।

রাতের কেনাকাটায় পাঞ্জাবি, জুতো, মানিব্যাগ আর বেল্ট আর ফুটপাতের গহনার দোকানে ভিড় দেখা গেছে।বিভিন্ন আসবাবপত্রের দোকানেও ভিড় করছেন ক্রেতারা।

রাত সোয়া ১১টার দিকে অন্যান্য সময় শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোডের এলাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে আসলেও আজিজ সুপার মার্কেটে দেখা গেছে আলোকসজ্জা।

তরুণ-তরুণীরা এখানে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতীক বলেন, “ঈদে ফতুয়া পড়ার ইচ্ছে হয়েছে। তাই আজিজে কেনাকাটা করতে এসেছি।”

ছবি: তানভীর আহমেদ/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ছবি: তানভীর আহমেদ/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

সাড়ে ১১টায় সাইন্সল্যাবরেটরির ফুটপাতে সামনে থেকে দুই সন্তানের জন্য পাজামা কিনে মিরপুরের ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, “ঈদের আগে অফিসের কাজে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ মেলে না। তাছাড়া দিনে বের হলে রাস্তায় এতোদিন যানজটে পড়তে হবে বলে বের হইনি। এখন শহর ফাঁকা হতে শুরু করায় রাতে বাচ্চাদের জন্য এখানে পাজামা কিনতে এলাম।”

একই এলাকায় ডাব বিক্রেতা মো. আউয়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদে পাঞ্জাবি আর মেয়েদের গহনাসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক কিনতে গাউসিয়া-নিউমার্কেটে প্রচণ্ড লোকের ভিড় হয়। কেনাকাটা করতে এসে হয়রান হয়ে গেলে মানুষ ডাব কিনে খায়।”

ঈদের শেষ সময়ে রাতে ডাব অন্যান্য সময়ের মতোই বিক্রি হয় বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর ‘অভিজাত’ বিপণীবিতান হিসেবে পরিচিত বসুন্ধরা সিটির সামনের রাস্তার দুইপাশে ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছে এমন বিভিন্ন বয়সীদের ভিড় দেখা গেছে।

ছবি: তানভীর আহমেদ/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ছবি: তানভীর আহমেদ/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মার্কেটের সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকা সিএন্ডজি চালক মো.হাসেম বলেন, “পাবলিকে এমন কেনাকাটা শুরু করসে যে যাত্রাবাড়ির খ্যাপ পাইতাসি না। অন্যান্য দিন রাত ১টার মধ্যে ঘরে গিয়া ঘুমাই।”

পান্থপথের ফার্নিচারের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গৃহিণী সুলতানা আক্তার  বলেন, “বাসার জন্য ঈদে জামাকাপড় কেনার পাশাপাশি একটা ডাইনিং টেবিল কিনবো। রাতে রাস্তাঘাট সকালের চেয়ে ফাঁকা থাকে।

“কেনাকাটার অনেকগুলো দোকান ঘোরা সহজ হয়। তাই এবার রাতে কেনাকাটা করতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখি রাতেও ভিড় কম না।”