বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলা এ অবরোধের সময় কোন বিমান কর্মকর্তাকেই বলাকা ভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এ সময় কর্মচারীরা বলাকা ভবনের নিচ তলায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
কর্মচারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে দক্ষ জনবল নিয়োগ, কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য বেতনের ২৫ ভাগ টাকা কেটে রাখার নিয়ম বাতিল, পাঁচ বছরের বেশি বিমানে অস্থায়ী পদে কর্মরতদের স্থায়ী নিয়োগ দেয়া, মহার্ঘ্য ভাতা ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা ইত্যাদি।
এর আগে গত ৩০ জুন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ৩ জুলাই চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘেরাও করে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
তিন ঘণ্টা অবরোধ শেষে বিমান সিবিএ’র সভাপতি মশিকুর রহমান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি জরুরি বোর্ড সভা আহ্বান করে আজকেই শ্রমিকদের দাবি পূরনে উদ্যোগ নেয়া হবে। যদি না হয় আগামী কাল সকাল ৯টা থেকে পুনরায় বলাকা ভবন অবরোধ করা হবে।”
শ্রমিকদের দাবি পূরণ না হলে কোনো বোর্ড সভা বিমানে করতে দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেন তিনি।
মশিকুর রহমান বলেন, “যদি বোর্ড সভা করতে হয় শ্রমিকদের ১৪ দফা এক নম্বরে রেখে তা বাস্তবায়ন করে বলাকা থেকে বের হতে হবে।”
গত বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ছয় দফা দাবিতে বিমানের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত এমডি মোসাদ্দেক আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন বিমান কর্মীরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় পরবর্তীতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দিলে কার্যত আট ঘণ্টা অচল থাকে শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
পরে তৎকালীন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বিমানমন্ত্রী ফারুক খানের মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নেন কর্মীরা।