হল-মার্কের বিল দ্রুত পরিশোধ করবে সোনালী ব্যাংক

হল-মার্ক সংক্রান্ত বকেয়া স্বীকৃত বিল দ্রুত পরিশোধ করবে সোনালী ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2014, 06:39 PM
Updated : 22 July 2014, 06:39 PM

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন,“হল-মার্ক সংক্রান্ত বকেয়া স্বীকৃত বিল পরিশোধ করার জন্য ২০ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি বিলগুলো যাচাই বাছাই করে পর্যায়ক্রমে পরিশোধের সুপারিশ করবে। আমরা সে অনুযায়ী পরিশোধ করব।”

বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের স্বীকৃতি দেয়া ১ হাজার ৭৫৭টি বিলের বিপরীতে বাংলাদেশের ৪২টি ব্যাংকের ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

কয়েক বছর ধরে এসব বিল পাওনা থাকলেও ব্যাংকটি নানা কারণ দেখিয়ে তা পরিশোধ করছে না।

এ বিষয়ে প্রদীপ কুমার বলেন,“বিলগুলোর মধ্যে অনেক ভুয়া বিল রয়েছে। যেমন এলসি ইস্যু করেছেন একজন আর বিল প্লেস করেছেন আরেকজন। এসব নিয়ে এতদিন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছিল। কিন্তু দুদক হঠাৎ করে বলেছে, তারা আর নন-ফান্ডেড বিল তদন্ত করবে না। এরকম অবস্থায় আমরাও সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম কী করব।

“কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আমরা বিলগুলো পরিশোধ করব।”

এদিকে এসব বিল পরিশোধে সোনালী ব্যাংককে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় এ সময় বেঁধে দেয়া হয়।

ব্যাংকার্স সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “তিন ধাপে আগামী বছরের জুনের মধ্যে এসব অর্থ পরিশোধ করতে হবে। নতুবা বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়ে ব্যাংকগুলোকে পরিশোধ করা হবে।”

এসময় উপস্থিত এবিবি’র চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার সাংবাদিকদের বলেন,“বাংলাদেশ ব্যাংক খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছে।”

সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, “হল-মার্ক কেলেঙ্কারির রেশ কাটিয়ে ব্যাংকটি ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আমানত, বিনিয়োগ বেড়েছে। কমেছে খেলাপি ঋণ।”

বৈদেশিক বাণিজ্যও বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এসময় তিনি সোনালী ব্যাংকের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যায়ন ক্যামেলস রেটিংয়ের তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিং প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “মূলধন, ব্যবস্থাপনা, উপার্জন ক্ষমতা ও তারল্য এসব সূচকে আমরা (সোনালী ব্যাংক) এক ধাপ করে এগিয়েছি। শুধু সম্পদ মান ও বাজার ঝুঁকি সূচকে আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি।”

সর্বশেষ (ডিসেম্বর-২০১৩)ক্যামেলস রেটিংয়ে ব্যাংকটির মূলধন-৪, সম্পদ-৫, ব্যবস্থাপনা-৪, উপার্জন ক্ষমতা-৪, তারল্য-৩ ও বাজার ঝুঁকি-৪ পয়েন্টে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালকরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।