৬ মাসে গ্রামীণফোনের আয়ে প্রবৃদ্ধি ৮%

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে, এই সময়ে বেড়েছে নিট মুনাফাও।  

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2014, 01:43 PM
Updated : 22 July 2014, 03:13 PM

মঙ্গলবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুদ বলেন,এটি ছিল তাদের জন্য সফল একটি প্রান্তিক।

এই ছয় মাসে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ২১ লাখ বেড়ে তা ৫ কোটির কাছাকাছিতে পৌঁছেছে বলেও সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়।

তবে বিবেক সুদ অভিযোগের সুরে বলেন, কোনো কোনো অপারেটরের সিমের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভিওআইপি হওয়ায় পুরো শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

কোম্পানির সাফল্যের দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে শেয়ারহোল্ডারদের জানাচ্ছি যে, গ্রামীণফোন আরেকটি সফল প্রান্তিক কাটালো।  যার ফলে ২০১৪ সালের সাফল্যের একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

“রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অধিকতর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বাজারে গ্রামীণফোনের প্রতি আস্থা এই সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে। সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানের লক্ষ্য এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এর সহায়ক হিসেবে কোম্পানির অবস্থানকে তুলে ধরার কাজটি দক্ষতার সাথে করা হয়েছে।”

তিনি বলেন,গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৯৫ ভাগ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুনে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ হাজার ১১০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

এই ছয় মাসে আয়কর দেয়ার পর ২০১৩ সালের প্রথমার্ধের ১০.৮ শতাংশ মার্জিনসহ ৫১০ কোটি টাকা মুনাফার তুলনায় ২০১৪ এর একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে শতকরা ২০ ভাগ মার্জিনসহ ১০৬০ কোটি টাকা।

রাজস্ব বৃদ্ধি এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে পরিচালন ব্যয় স্থির থাকায় মার্জিন বেড়েছে বলে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিবেক সুদ বলেন, তবে অধিকতর কর্পোরেট কর মুনাফার ওপর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০১৪ এর প্রথমার্ধে শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা,  যা ২০১৩ এর একই সময় ছিল ৩ টাকা ৭৮ পয়সা।

চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৬৪ জেলায় থ্রিজি সম্প্রসারণ এবং ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে গ্রামীণফোন ৬৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

এর ফলে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গ্রামীণফোনের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

গ্রামীণফোন আরো জানায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তারা কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি বাবদ সরকারের কোষাগারে ৩৮ হাজার ৯০০ টাকা দিয়েছে।