৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো রপ্তানি আয়

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পোশাক খাতে বড় দুর্ঘটনার পর সৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা কাটিয়ে দেশের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2014, 02:44 PM
Updated : 10 July 2014, 02:44 PM

গত অর্থবছরে বিদেশে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানির হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ইপিবির তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।

তবে গত অর্থবছরের জন্য সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কিছুটা কম হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।

৩০ বিলিয়ন ডলারের এই রপ্তানি আয়ের মধ্যে পাঁচ ভাগের চার ভাগ অবদান তৈরি পোশাক শিল্পের।

২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ।

তৈরী পোশাকের মধ্যে নীট পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেশি।

আর ওভেন পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।

মোট রপ্তানি আয় বাড়লেও বেশ কয়েকটি খাতের পণ্য রপ্তানি থেকে আয় গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে।

গত অর্থবছরে ২০১২-১৩ অর্থবছরের তুলনায় পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ২০ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এই খাতের পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৮২৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল এক হাজার ৩০ কোটি ডলার।  

এছাড়া হিমায়িত মাছ রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ২২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

পাশাপাশি তামাক, ফুল, ফল, সিমেন্ট, লবন, পাথর, কসমেটিকস, মদ্রিত মালামাল, সুতা ও সুতা দিয়ে তৈরি পণ্য, বিশেষায়িত টেক্সাটাইল পণ্য টেরিটাওয়েল, জাহাজ ও ভবন নির্মানের পণ্য রপ্তানি থেকে আয় কমেছে। 

রপ্তানির বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদ সহায়তা ছাড়বিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এসব রপ্তানি আয়ের বিপরীতে সরকার ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছে।

মোট ১৬টি খাতে এসব নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে এক হাজার ২৭৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছে সরকার।

নতুন বাজারে রপ্তানির জন্য দেওয়া হয়েছে ১৩৯ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। 

এছাড়া তুলার উচ্চমূল্যের জন্য ৯ কোটি ৭৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।