“আমাদের দরকার নেই...দরকার নেই... জিএসপি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে...সব ভুলে যান... আমাদের আর জিএসপির দরকার নেই,” রোববার এক অনুষ্ঠানে বলেন তিনি।
আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে সহস্রাধিক এবং সাভারের রানা প্লাজা ধসে সহ্রসাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৭ জুন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধায় বাংলাদেশ যে পণ্য বিক্রি করত, তা দেশের ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানির ১ শতাংশের মতো। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক এই সুবিধা পায় না।
জিএসপি স্থগিতের পর ওয়াশিংটন জানায়, কারখানাগুলোর কর্ম পরিবেশের উন্নতি এবং শ্রমিকদের সংগঠন করার সুযোগসহ ১৬টি শর্ত পূরণ হলে তবেই এ সুবিধা ফেরত দেয়া হবে।
এরপর থেকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ এই সুবিধা পুনরায় পেতে বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে আসছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পোশাক ক্রেতাদের পরামর্শে কারখানাগুলোর উন্নয়নে কাজও চলছে। পরিবেশ ভালো না হওয়ায় বিভিন্ন কারখানা বন্ধ করতেও বলছেন তারা।
এর মধ্যেই রোববার নিউ ইয়র্কভিত্তিক তাউ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর অনুষ্ঠানে জেএসপি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে অসন্তোষ জানান তোফায়েল আহমেদ।
অ্যাকর্ড (ইউরোপের ক্রেতাদের সংগঠন) চট্টগ্রামে রোববারই কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে তো এটা বুঝতে হবে যে একদিনেই সব কিছু বদলানো যাবে না।
আকস্মিকভাবে কারখানা বন্ধ করায় শ্রমিকদের বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের চাকরি হারানোর কথাও তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
“তারা যদি রাস্তায় নামে, সমাজে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, আর তা বাংলাদেশের জন্য কোনো অর্থেই ভালো হবে না।”
আর এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কোনো সহায়তা না পাওয়ার কথা তুলে ধরে তোফায়েল বলেন, তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত সুবিধা বারবার চেয়েও বিফল হতে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের জিএসপি সুবিধা স্থগিতের পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন।