থ্রিজি নিলামে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনার পর সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুদ এই ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, অক্টোবরের শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় থ্রিজি সেবা চালু করার পর নভেম্বেরে ঢাকা জেলার অন্যান্য অংশ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে যাবে গ্রামীণ ফোন।
আর ডিসেম্বরের মধ্যে সাত বিভাগীয় শহরেই গ্রামীণ ফোনের থ্রিজি সেবা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিবেক।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪৬ লাখ।
গ্রামীণ ফোনের পাশাপাশি দেশের অপর তিন মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল রোববার নিলামে অংশ নিয়ে পাঁচ মেগাহার্টজ করে থ্রি জি তরঙ্গ কিনেছে।
১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য গ্রামীণ ফোন সরকারকে পরিশোধ করবে প্রায় ১ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। আর বাকি তিন অপারেটরকে দিতে হবে প্রায় ৮১৬ কোটি টাকা করে।
থ্রিজি নীতিমালা অনুসারে অপারেটররা ১৫ বছরের জন্য এই লাইসেন্স পাচ্ছে।
নিলাম শেষে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস সাংবাদিকদের জানান, নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথম কিস্তিতে মোট টাকার ৬০ শতাংশ জমা দিতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে। বাকি টাকা ১৮০ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
টাকা জমা দেয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স দেয়া হবে বলে সুনীল কান্তি বোস জানান।
তবে কোনো অপারেটর নয় মাসের মধ্যে সব বিভাগে সেবা চালু করতে না পারলে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হবে।