ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা সাড়ে ৯শ’

ত্রুটিযুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা সারাদেশে প্রায় সাড়ে নয়শ’ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2013, 09:10 AM
Updated : 12 May 2013, 09:13 AM

ত্রুটি সংশোধনে এই কারখানাগুলোকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, এর মধ্যে ত্রুটি সারাতে না পারলে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

সাভারে ভবন ধসে হাজারের বেশি পোশাক শ্রমিকের প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্যোসাল কমপ্লায়েন্স ফোরাম অন আরএমজি-এর বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাক শিল্পের এ ফোরামটি মালিক, শ্রমিক, বিশেষজ্ঞ ও সরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত।

জিএম কাদের জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত তিন মাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কারখানা পরিদর্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯৪৩টি ত্রুটি ও ঝুঁকিপূর্ কারখানা চিহ্নিত করেছে।

পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র হিসাবে, সারাদেশে প্রায় সাত হাজার পোশাক কারখানা রয়েছে।

ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে এরই মধ্যে ২০ কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

জি এম কাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঠামো চুক্তির (টিকফা) বিষয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

তিনি বলেন, টিকফা চুক্তি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

“টিকফা চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই এবং জিএসপি’র সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই,” বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য বড় বাজার হিসেবে বিবেচিত যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের শুল্মমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে সরকার।

“টিকফা হলে জিএসপি হারালেও আমরা সেটা নিয়ে কথা বলতে পারবো এবং অন্যান্য যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার একটা আইনগত প্ল্যাটফর্ম হবে,” তা-ও বলেন জি এম কাদের।

জিএসপির আওতায় বাংলাদেশের কিছু কিছু পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। তবে এর মধ্যে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক নেই।

যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানির দশমিক ৫ শতাংশ জিএসপি সুবিধায় যায় বলে জানান মন্ত্রী।