ব্যাংকগুলোকেও দ্রুত রেমিটেন্স পৌঁছে দিতে হবে: গভর্নর

ব্যাংকগুলোর বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ দ্রুত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2017, 04:31 PM
Updated : 19 Sept 2017, 04:37 PM

অবৈধপথে পাঠানো অর্থ স্বল্প সময়ে বাংলাদেশে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর এটা করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

গভর্নর বলেন, “রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে আরও কম সময় নিতে হবে। কারণ অবৈধ চ্যানেলগুলো অতি কম সময়ে গ্রাহকের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়। এর জন্য বৈধভাবে দ্রুত টাকা পৌঁছানের পন্থা বের করতে হবে।

“ব্যাংকগুলোকে দক্ষ হতে হবে, কারণ ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে।”

গত বছর রেমিটেন্স কম এলেও এই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে তা বাড়ায় আশা দেখছেন গভর্নর।

“আশা করছি, রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যাবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, “দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে সব অপ্রয়োজনীয় বাঁধাগুলো দূর করতে হবে। বিদেশে যে দূতাবাসগুলো রয়েছে সেগুলো হতে হবে শ্রমাবাস বা বাণিজ্য কেন্দ্র।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। অন্যদের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নমিতা হালদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়দুল্লাহ আল মাসুদ, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ৪টি ক্যাটাগরিতে ৩৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী ২১ জন, বন্ডে বিনিয়োগকারী পাঁচজন, বিদেশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন চারটি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও শীর্ষ রেমিটেন্স আহরণকারী পাঁচ ব্যাংককে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠানো ও বন্ডে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছেন। অপর নয়জন যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, কাতার ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

শীর্ষ রেমিটেন্স আহরণকারী ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, অগ্রণী, সোনালী ও জনতা ব্যাংক। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্লাসিড ইনক করপোরেশন, ইতালির ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি, যুক্তরাজ্যের এনইসি মানি ট্রান্সফার ও যুক্তরাষ্ট্রের সানম্যান গ্লোবাল এক্সপ্রেস।

অনাবাসী বাংলাদেশিদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনা এবং বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।