ভারত থেকে চাল আমদানির অভিজ্ঞতা তিক্ত: রাজ্জাক

চাল নিয়ে সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভারত থেকে আমদানির ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা’র কথা শোনালেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2017, 03:34 PM
Updated : 19 Sept 2017, 03:37 PM

মঙ্গলবার সচিবালয়ে চাল আমদানিকারক, চালকল মালিক, আড়তদার এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে মন্ত্রীদের বৈঠকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক ২০০৯ থেকে ১৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি যখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন ভারত থেকে চাল আমদানি করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। মাত্র পাঁচ লাখ টন চাল আনার চুক্তি করেও কোনো চাল আনতে পারিনি।”

পরে ভিয়েতনাম থেকে চাল এনে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন বলে জানান রাজ্জাক।

এবার দুই দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি চালের মজুদ তলানিতে নেমে আসায় সরকার তিন মাস আগে আমদানির উদ্যোগ নেয়। সেইসঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি উৎসাহিত করতে ২৬ শতাংশ থেকে শুল্ক নামিয়ে আনা হয় দুই শতাংশে।

ভারত থেকে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি হলেও সম্প্রতি খবর ছড়ায়, ভারত বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ করছে। তবে এই খবর ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সচিবালয়ের এই বৈঠকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকও ছিলেন

বৈঠকে জয়পুরহাট চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল বারী বলেন, “চাল আমদানির ট্যারিফ কমানো নিয়ে আপনাদের সিদ্ধান্ত রং (ভুল) ছিল। দেশে চালের সঙ্কট হওয়ায় আপনারা ট্যারিফ কমাচ্ছেন আর ইন্ডিয়া চালের দাম বাড়ছে। তাহলে ট্যারিফ কমিয়ে কী লাভ হল?”

ভারত থেকে ট্রেনে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহনপুর দিয়ে চাল আনার জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বৈঠকে জানান তোফায়েল।

চিত্ত মজুমদার নামে একজন চাল আমদানিকারক বৈঠকে বলেন, “সরকার ভারত থেকে বেশি দামে চাল আমদানি করছে। আমাদের দায়িত্ব দিলে আমরা সরকারের চেয়ে কম দামে ভারত থেকে চাল এনে দিতে পারতাম।”

শুল্ক কমানোর ঘোষণার পরে তা বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় ভারতে অনেক চালের ট্রাক অপেক্ষা করেছে বলে এই সময়ে চালের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী।

তবে সরকার চালের বাজারে অস্থিরতার জন্য ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দায়ী করেন।

বৈঠকে এই অভিযোগ তোলার পর ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।