সরকার এলএনজি নিয়ে ব্যবসা করবে না: প্রতিমন্ত্রী

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির মূল্য নির্ধারণে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেট্রোবাংলাকে পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2017, 07:28 PM
Updated : 18 Sept 2017, 07:28 PM

সরকার এলএনজি বা গ্যাস নিয়ে ব্যবসা না করে ন্যায্যমূল্যে যেন ব্যবসায়ীরা তা পায়, সেটা নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

সোমবার ঢাকায় এলএনজি বিষয়ক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলএনজি মিশ্রিত গ্যাসের ব্যবহার ও মূল্য নির্ধারণে দীর্ঘ মেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। টেকসই মূল্য ব্যবস্থাপনা থাকলে ব্যবসায়ীরা সহজে পরিকল্পনা স্থির করতে পারবে। তাই পেট্রোবাংলা এলএনজির মূল্য নির্ধারণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এলএনজি আমদানি পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্প/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য এই মত বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাসের দাম বাড়লেও ব্যবসায়ীরা মুনাফা করার সুযোগ পাবে।

সভায় জানানো হয়, আগামী বছরের এপ্রিলে এক্সেলারেট এনার্জি ৫০০ এমএমসিএফডি, অক্টোবরে সামিট এলএনজি ৫০০ এমএমসিএফডি, ২০১৯ সালের জুনে রিলায়েন্স ৫০০ এমএমসিএফডি এবং ২০১৯ সালের জুনে হংকং সাংহাই মানজালা ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস কমিশনিং করবে।

জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই সভায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, সিসিআইসি-র চেয়ারম্যান শাহ মো. আমিনুল হক, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট লতিফ খান, বিকেএমইএ-এর সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের সভাপতি তপন চৌধুরী ও সিএনজি গ্যাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বক্তব্য রাখেন।

স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পেট্রোনেট-ইন্ডিয়া, এইচওসি চায়না, সিম্বকরপ সিংগাপুর, পায়রা ও মহেশখালীর মোট ৫টি স্থানে টার্মিনাল করার জন্য সমঝোতা চুক্তি করা হয়েছে। এলএনজি আমদানির জন্য কাতারের রাশগ্যাস, ওমানের ওটিআই, ইন্দোনেশিয়ার পারটোমিনা ও সুইজারল্যান্ডের অস্ট্রা ওয়েলের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে।