খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক ছিল। এরপরই এক লাখ টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
কত দিনের মধ্যে এই চাল আসবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “কেবল সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন লাগবে। এরপর এলসি খোলা হবে। তারপর চাল আসবে।”
রোহিঙ্গা সঙ্কটের জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করে দেশটি থেকে চাল আমদানি না করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে আসছিল গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন।
দুই দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি চালের মজুদ তলানিতে নেমে আসার প্রেক্ষাপটে সরকার গত অর্থবছরের শেষ দিকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়। সেইসঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি উৎসাহিত করতে ২৬ শতাংশ থেকে শুল্ক নামিয়ে আনা হয় দুই শতাংশে।
সরকারি হিসেবেই মোটা চালের দাম গত এক মাসে বেড়েছে ১৮ শতাংশ, এক বছরে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এখন বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো মোটা চাল নেই।
বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে সরকার।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল বলেন, প্রথম দিনের চেয়ে সোমবার ওএমএস এ বিক্রি বেড়েছে, প্রতিটি ট্রাকের সামনে আগের দিনের চেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে।
“কুষ্টিয়া ও বগুড়ায় বিভিন্ন মিলে অভিযান এবং ওএমএস চালুর ফলে আমরা লক্ষ্য করছি আজ বাজারে চালের দর একটু নিম্নমুখী।”
চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সচিবালয়ে মিল মালিক, আমদানিকারক ও আড়তদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খাদ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।