ফোরজি লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলাম নীতিমালায় প্রধানমন্ত্রীর সায়

টেলিযোগাযোগে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) সেবায় লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলাম নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2017, 05:00 PM
Updated : 12 Sept 2017, 05:00 PM

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফোরজি লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলাম নীতিমালায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

“আমরা সর্বশেষ যেভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম সেভাবেই তা অ্যাপ্রুভ হয়েছে। সে রকম কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করতে এটি আমরা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসিতে পাঠিয়ে দিয়েছি।”

এ বছরের মধ্যে ফোরজি সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অপারেটররা দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার দাবি করে আসছিল। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতাসহ তরঙ্গ নিলামের পর অপারেটররা তরঙ্গ নিলে সেবার মান উন্নত হবে।” 

বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফোরজি লাইসেন্সের জন্য অপারেটরদের আবেদন ফি হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। ১০ কোটি টাকায় লাইসেন্স এবং বার্ষিক লাইসেন্স নবায়ন ফি ৫ কোটি টাকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এ লাইসেন্স নিতে অপারেটরদের ১৫০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টিও দিতে হবে।

ফোরজি লাইসেন্স খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করে গত মে মাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায় বিটিআরসি।

তরঙ্গ নিলামে নীতিমালায় মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সে রকম কোনো পরিবর্তন করা হয়নি জানিয়ে বিটিআরসির ওই কর্মকর্তা বলেন, চূড়ান্ত নীতিমালায় এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ নিলামে প্রতি মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য ৩০ মিলিয়ন ডলার, থ্রি জির দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ২৭ মিলিয়ন ডলার এবং ৯০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ৩০ মিলিয়ন ডলার ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রায় দুই বছর ধরে ঝুলে থাকা বাড়তি টু জি ও থ্রি জি তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দে গত ১১ জুলাই খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করেছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।