অবৈধ ভবন ভাঙতে আরও ১ বছর চায় বিজিএমইএ

হাতিরঝিলে বেআইনিভাবে গড়ে তোলা ভবন ভাঙার জন্য আদালতের কাছে আরও এক বছর সময় চেয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2017, 08:37 AM
Updated : 9 Sept 2017, 08:43 AM

নতুন ভবন নির্মাণে সময় লাগবে বলে আদালতে সময় চেয়ে এই আবেদন করা হয়েছে বলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর ১৬ তলা বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে পোশাক রপ্তানিকারকদের ছয় মাস সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত ওই ভবন হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করার পর আপিল বিভাগেও ওই রায় বহাল থাকে। বিজিএমইএ ওই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলে তাও খারিজ হয়ে যায়।

কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ তিন বছর সময় চাইলেও আদালত তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলেছিল। ১১ সেপ্টেম্বর সেই সময়সীমা উত্তীর্ণ হবে। তার আগেই তারা আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করল।

সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকুর বলেন, “আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলেই আমরা চলে যাব। তবে নতুন ভবন সম্পন্ন হতে আরও এক বছর সময় লাগবে। তাই আমরা মহামান্য আদালতের কাছে আরও একটি বছর চেয়েছি।

“আমরা আশা করি, সমগ্র অর্থনীতিতে এই শিল্পের অবদান বিবেচনা করে মহামান্য আদালত আমাদের এই আবেদন বিবেচনা করবেন।”

সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবনকে‘একটি ক্যান্সার’ বলেছে হাই কোর্ট

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবন না ভাঙার বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “বিজিএমইএ ৩ হাজার ২০০ কারখানা এবং ৪৪ লাখ শ্রমিকের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে। এই বিপুল পরিমান কারখানা ও শ্রমিকের দাপ্তরিক কাজ হয় এই ভবনে।

“বিজিএমইএ মূলত বেসরকারি সংগঠন হলেও অনেকগুলো সরকারি কাজ আমাদের করতে হয়। বিজিএমইএ থেকে সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে ইউডি, ইউপি, মেশিনারি আমদানি প্রত্যায়নপত্র জারি করা হয়ে থাকে। এইসব কাজও বিজিএমইএ এর করতে হয়।”

নতুন ভবন নির্মাণের জন্য রাজধানীর উত্তরার ১৭ নাম্বার সেক্টরে অর্ধেক মূল্যে সাড়ে ৫ বিঘা বিজিএমইএকে বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার টাকা পরিশোধ করে সেই জমির দলিল বুঝে পেয়েছেন বলে জানান সিদ্দিকুর।

“আগামী এক বছরের মধ্যে নতুন ভবন তৈরি হবে বলে আমি আশাবাদী। ভবন তৈরি হলেই আমরা চলে যাব। এ কারণে আদালতের কাছে এক বছর সময় চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে বিজেএমইএ সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু এবং মো. নাসির উপস্থিত ছিলেন।