ফুটপাতের খাবারও যেন নিরাপদ হয়: খাদ্যমন্ত্রী

উৎপাদন থেকে শুরু খাবার টেবিল পর্যন্ত সর্বত্র নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2017, 12:32 PM
Updated : 23 August 2017, 12:32 PM

বুধবার ঢাকায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফুড সেইফটি কনফারেন্স’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিদেশে যখন যাই, তখন দেখি মানুষ স্ট্রিট ফুডও অত্যন্ত নিরাপদে গ্রহণ করে। খাবারে কোনো রকম সমস্যা থাকেনা।

“আমরা আমাদের দেশকে সেই অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। ফুটপাতের খাবারও যেন নিরাপদ হয়, আমার সেই অবস্থায় দেশকে নিয়ে যাব।”

২০২১ সালের মধ্যে সর্বত্র নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা দিয়েছেন। এখন সরকার নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করছে। নিরাপদ খাবার জনগণের সাংবিধানিক অধিকার।”

২০১৩ সালে প্রণীত খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আলোকে ইতোমধ্যেই গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ ফুড সেইফটি অথরিটি বা বিএফএসএ। রাষ্ট্রীয় মাননির্ণয় সংস্থা বিএসটিআই, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স, ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার্স অব কমার্সের সহযাগিতায় প্রথমবারের মতো এই সম্মেলনের আয়োজন করে বিএফএসএ।

এবিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, জনগণের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও ৪৮০টি সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি জেলায় নিরাপদ খাদ্য আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

“আমাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে, প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাবার টেবিল পর্যন্ত খাবারকে নিরাপদ রাখা। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”

অনুষ্ঠানের অতিথি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের ২৫ লাখ ব্যবসায়ী খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মাঝারি আকারের খাদ্য উৎপাদনকারী ২৪৬টি উন্নতমানের শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারণ শিল্পে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

দেশে প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার বড় হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রপ্তানি আয় ছিল ২৭ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১৪-১৫ সালে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২৪ মিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাবার রপ্তানি থেকে আয় বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।

প্রক্রিয়াজাত খাবারের দেশীয় ও রপ্তানি বাজার বড় করতে এর মান বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, বিপণন এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে এ লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে খাদ্য নিরাপদ করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, খাদ্য সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন, বিএসটিআইএর মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিব, এফআইসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রূপালী চৌধুরী, এমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের বাজারে খাদ্য ব্যবসায় যুক্ত দেশ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে দুইদিন ধরে চলবে এই সম্মেলন।