গ্রামীণফোন অ্যাক্সিলেরেটরে নতুন ব্যাচকে স্বাগত, আগের ব্যাচকে বিদায়

তৃতীয় ব্যাচকে বিদায় সংবর্ধনা এবং একই সঙ্গে চতুর্থ ব্যাচকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাল গ্রামীণফোন অ্যাক্সিলেরেটর (জিপিএ)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2017, 04:44 PM
Updated : 9 August 2017, 04:44 PM

বুধবার গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে জিপিএ ডেমো ডে-তে গ্রামীণফোনের সাথে চার মাসের অ্যাক্সিলেরেটর যাত্রা সম্পন্ন করে তৃতীয় ব্যাচের স্টার্টআপগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদের ব্যবসাকে উপস্থাপন করে।

একই প্ল্যাটফর্মে চতুর্থ ব্যাচের নতুন পাঁচটি স্টার্টআপকে স্বাগত জানানো হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু স্টার্টআপদের সহায়তা করার জন্য গ্রামীণফোন ও এসডি এশিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ডিজিটাল দেশ গঠন এবং ডিজিটাল লাইফস্টাইল এর জন্য ডিজিটাল পণ্য ও সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এক্ষেত্রে সহায়তা করার চেষ্টা করছে এবং আপনারাও এতে সহায়তা করছেন দেখে আমি আনন্দিত।”

প্রাথমিক পর্যায়ে তরুণ স্টার্টআপদের প্রযুক্তি বিষয়ক সহযোগিতায় এসডি এশিয়ার সঙ্গে মিলে দি জিপি অ্যাক্সিলেরেটর প্রোগ্রামটি সাজানো হয়েছে।

প্রতিটি ব্যাচের স্টার্টআপদের চার মাসব্যাপি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞ দ্বারা কারিকুলামভিত্তিক মেন্টশিপ দেওয়া হয়।

নির্বাচিত প্রতিটি স্টার্টআপকে সিড ফান্ড হিসেবে ১২ লাখ টাকা, প্রায় এক হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস (এডব্লিউএস) ক্রেডিট এবং চার মাস জিপি হাউজে কাজ করার জন্য জায়গা দেওয়া হয়ে থাকে।

একই সাথে এ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের নজরে আসা, খাত সংশ্লিষ্ট পেশাদারদের দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং নিজেদের প্রকল্পটি বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে সবরকম আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে স্টার্টআপগুলো।

এদের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান আগামী সেপ্টেম্বরে টেলিনর গ্রুপ আয়োজিত ডিজিটাল উইনার এশিয়ায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে এশিয়ার অন্যান্য দেশে নিজেদের ব্যবসা বিস্তারের সুযোগ পাবে।

অনুষ্ঠানে তৃতীয় ব্যাচের তিনটি স্টার্টআপ- জলপাই, মাইক্রোটেক ও ব্যাংককম্পেয়ারবিডি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, পেশাদার প্রযুক্তিবিদ, গ্রামীণফোন ও এসডি এশিয়ার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত প্রায় ২০০জনের সামনে যার যার ব্যবসায়িক ধারণা প্রদর্শন করে।

চতুর্থ ব্যাচের স্টার্টআপরাও অতিথিদের সামনে নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরেন।   

চতুর্থ ব্যাচের শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপগুলো হচ্ছে- অল্টারইউথ, ফুডটং,অভিযাত্রিক, মার্স এবং আমারউদ্যোগ। দেশের বিভিন্ন খাতের জটিল সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব দিয়ে এবারের প্রোগ্রামটি পরিচালনা করা হবে।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বলেন, “নতুন বাস্তবতার সাথে তাল মেলাতে আমরা আমাদের ব্যনসার জন্য একটি ইকো সিস্টেম গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি এবং আপনাদের উদ্ভাবিত সেবাগুলো আমাদের নেটওয়ার্কে চলে এবং গ্রাহকদের নতুন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।"

একটি প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সবগুলো স্টার্টআপ নির্বাচিত হয়েছে। এবারে প্রায় ৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্য থেকে ২৫টি স্টার্টআপকে দুদিনব্যাপী জিপি অ্যাক্সিলেরেটর বুট ক্যাম্পে ডাকা হয়।

এদের মধ্যে থেকে ১১টি স্টার্টআপকে পর্যবেক্ষণ, প্রত্যক্ষ স্বাক্ষাতকার ও প্রতিযোগিতামূলক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কঠোর মূল্যায়ন করা হয়। অবশেষে শীর্ষ পাঁচটি স্টার্টআপ চতুর্থ ব্যাচের জন্য নির্বাচিত হয়।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ট্রান্সফরমেশন বিভাগের প্রধান কাজি মাহবুব হোসেন, জিপি অ্যাক্সিলেরেটরের প্রধান মিনহাজ আনোয়ার, এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর আর খান বক্তব্য রাখেন।