তৈরি পোশাকের দাম বাড়ান: ইইউকে বাণিজ্যমন্ত্রী

বিদেশি ক্রেতাদের পরামর্শে অর্থ খরচ করে কারখানাগুলো উন্নত করা হলেও তৈরি পোশাকের দাম না বাড়ায় খেদ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2017, 01:24 PM
Updated : 27 July 2017, 01:24 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকায় সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সংলাপে পোশাকের দর বাড়াতে তাদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

চার বছর আগে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড এবং রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতারা।

পরে তাদের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে কারথানাগুলোর মানোন্নয়নের কাজ শুরু হয়। এতে অর্থ খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বৃহস্পতিবার ‘তৃতীয় বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’ এ বিষয়টি তোলার পর মন্ত্রী তোফায়েল সাংবাদিকদের বলেন, “ক্রেতাদের পরামর্শে কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ করা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। এ জন্য কারখানার মালিকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়েছে।

“এ খাতে অর্থ বিনিয়োগ করলেও তৈরী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি।”

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধিতে নিজ নিজ দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইইউ প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান তোফায়েল।

ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড-এর বাংলাদেশে কারখানা পরিদর্শনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তাজরীন ও রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ শুরু করে অ্যাকর্ড। ২০১৮ সালের মে মাসে তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

অ্যাকর্ড এই চুক্তির মেয়াদ ২০২১ পর্যন্ত বাড়াতে চাইলেও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এর আগে বলেছিলেন, তারা আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানি বাণিজ্যের ৫৪ ভাগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে জানিয়ে তোফায়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে ইউরোপীয় দেশগুলো এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।

সংলাপে ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান পিয়ের মায়াদন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ উন্নয়নের প্রশংসা করে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দেন।

সংলাপে যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক,  ঢাকায় স্পেনের রাষ্ট্রদূত আলভেরো দি সালাস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিশায়েল হেমনিটিউইনথার, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি কুলেনারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, বিডার চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, আমদানি-রপ্তানির প্রধান নিয়ন্ত্রক আফরোজা খান, জয়েন্টস্টক কোম্পানি এন্ড ফার্মস এর রেজিস্ট্রার মো. মোশাররফ হোসেন।