সোমবার রাতে টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এনীতিমালা নিয়ে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে লিখিতভাবে মতামত বা পরামর্শ জানাতে বলা হয়েছে।
তরঙ্গ বরাদ্দে নিলামের ভিত্তিমূল্য দুই বছর আগের ভিত্তিমূল্যের চেয়ে ৭ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার বাড়ানোর কথা গত মে মাসেই জানিয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
প্রযুক্তি নিরপেক্ষতাসহ (টেক নিউট্রালিটি) তরঙ্গের এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে-এ কারণ উল্লেখ করে এবার নিলামের ভিত্তিমূল্য দুই বছর আগের ভিত্তিমূল্যের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের অব্যবহৃত তরঙ্গ নিলামে প্রতি মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য ৩৫ মিলিয়ন ডলার, থ্রি জির দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ২৭ মিলিয়ন ডলার এবং ৯০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ৩০ মিলিয়ন ডলার ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অপারেটরদের দাবির মুখে বাড়তি টু জি ও থ্রি জি তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য নিলামের সময় পরপর দুইবার পিছিয়ে ২০১৫ সালের মে মাসে নিলামের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায় বিটিআরসি।
তরঙ্গ নীতিমালা সংশোধন করে নতুন নীতিমালায় পরবর্তী নিলামের দিন জানানো হবে বলে সে সময় জানিয়েছিল বিটিআরসি।
তরঙ্গ নিলামে ভিত্তিমূল্য ও শর্ত চূড়ান্ত না করায় বাড়তি টু জি ও থ্রি জি তরঙ্গ নিলাম প্রায় দুই বছর ধরে ঝুলে থাকে।
সে সময় নিলাম অনুষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী, এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের ক্ষেত্রে নিলামের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল তিন কোটি ডলার বা ২৩২ কোটি টাকা (তৎকালীন বাজার দরে)।
আর দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজেপ্রতি মেগাহার্টজের ভিত্তিমূল্য দুই কোটি ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল ওই নীতিমালায়।