ব্রেক্সিটেও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত সুবিধা ‘থাকছে’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে গেলেও বাংলাদেশসহ ৪৮ দেশের পণ্যে বিদ্যমান শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।

লন্ডন প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2017, 04:56 AM
Updated : 25 June 2017, 07:32 AM

দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী লিয়াম ফক্স শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “বাণিজ্যের মাধ্যমে উন্নয়নশীন দেশগুলোর দারিদ্র বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহযোগিতার অংশ হিসেবে আমাদের এই ঘোষণা।”

বাংলাদেশের মোট রপ্তানির অর্ধেকের বেশি পণ্য যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে। আর ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশের ক্রেতা যুক্তরাজ্য।

তৈরি পোশাক ছাড়াও বিভিন্ন কৃষিপণ্য ও হিমায়িত চিংড়ি যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করে বাংলাদেশ। অস্ত্র বাদে বাংলাদেশের সব পণ্যই সেখানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়।

যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলে বাংলাদেশ ওই সুবিধা হারাতে পারে বলে শঙ্কা ছিল ব্যবসায়ীদের অনেকের মনে। সেক্ষেত্রে  বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের ১০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হত।   

তবে ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বাংলাদেশ, সিয়েরা লিয়ন, হাইতি, ইথিওপিয়ার মত ৪৮টি দেশ ব্রেক্সিটের পরও আগের মত শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করবে।

বাংলাদেশসহ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া ওই ৪৮টি দেশ বছরে ২০ বিলিয়ন পাউন্ডের পণ্য রপ্তানি করে যুক্তরাজ্যে। দেশটির মোট পোশাক চাহিদার অর্ধেক এবং কফি, কোকা, কলা ও গোলাপের মত পণ্যের এক চতুর্থাংশ এসব দেশ থেকেই আসে।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম মিলেই ৩ কোটি ৪০ লাখ তৈরি পোশাক যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করে। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের সুযোগ না পেলে এই দেশগুলোর কোনোটিই দারিদ্র্য দূর করতে পারবে না। সুতরাং বিশ্বের দরিদ্র্য দেশগুলোর মানুষ যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে, তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”