ঈদের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে টিকেট কিনে বা বুকিং দিয়ে রাখা যাত্রীরা টিকেট পেলেও ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকে চেষ্টা করা প্রায় সবাই নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
এদিকে ঢাকা থেকে ফ্লাইট ছাড়তে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।পাশাপাশি গন্তব্যে পৌঁছে মালামাল হাতে পেতেও অতিরিক্ত সময় লাগছে বলে কক্সবাজার রুটের একজন যাত্রী জানিয়েছেন।
ঢাকা থেকে সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এবং বিমান পথে বাড়ি যাওয়া যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঈদ সামনে রেখে শনিবার পর্যন্ত তাদের সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে কমপক্ষে ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করেছে। এছাড়া ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর ও কলকাতা রুটেও গত এক সপ্তাহে ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছে।
ঈদের আগ পর্যন্ত বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে কোনো আসন ফাঁকা নেই বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা।
শনিবার বিকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে পরিবারসহ কক্সবাজারের বাড়িতে পৌঁছান জাফর আহমেদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকাল সোয়া ৪টায় ফ্লাইট ছাড়ার কথা থাকলেও তা ২০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। এছাড়া কক্সবাজার পৌঁছে মালামাল হাতে পেতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।
ঈদের আগে আসন পাওয়া কঠিন হবে ভেবে প্রায় এক মাস আগেই টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন জাফর।
শুধু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিমানই নয়, বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলোর চিত্রও একই ধরনের।
নভোএয়ারের জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করলে তারাও ঈদ ঘিরে বাড়তি চাপের কারণে এক সপ্তাহ আগেই অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলোর সব আসন বিক্রি অথবা বুকিং হওয়ার কথা জানান।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের পথের টিকেটের জন্য নভোএয়ারে গেলেও কোনো আসন ফাঁকা পাননি।
প্রতিদিন ঢাকা থেকে সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে ৩০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। ঈদের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দশটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এই বিমান সংস্থাটি।
তারপরও ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই তাদের কোনো আসন ফাঁকা নেই বলে জানান ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) কামরুল ইসলাম।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কর্মকর্তারাও দিলেন একই তথ্য। প্রতিষ্ঠানটির হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. জাফরউজ্জামান বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের চাপ অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
“ঈদের আগেই আমাদের অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইটের আসনগুলো পূরণ হয়ে গেছে।”