শিল্পপার্কের জন্য ১৭০ একর জমি পেল ডিবিএল গ্রুপ

মৌলভীবাজারের শেরপুরে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপার্ক স্থাপন করতে ১৭০ একর জমি পেয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2017, 03:30 PM
Updated : 22 June 2017, 03:40 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীরেএকটি হোটেলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে জমির বরাদ্দের ইজারা চুক্তি স্বাক্ষর করে ডিবিএল গ্রুপ।

বেজার সদস্য হারুনুর রশিদ ও ডিবিএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ কাদের নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, “অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নানা স্তর পার করে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি আমরা পেয়েছি। ডিবিএল গ্রুপ সেখান থেকে ১৭০ একর জমি পেয়েছে, তারা চাইলে আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করতে পারে।”

শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলকে দেশের প্রথম সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপতি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেটি বাস্তবায়নের নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

এর বাইরে মোট ৩৫০ একর জমির মধ্য থেকে আরো ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বেজা চেয়ারম্যান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার বলেন, তাদের গ্রুপ ওই জমিতে ১৫টি বিভিন্ন খাতে ১৯টি প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। স্পিনিং, টেক্সটাইলস, গার্মেন্টস, ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং, সিরামিকস, হার্ডওয়্যার, কেমিক্যাল, নির্মাণ সামগ্রী থাকবে এই খাতের মধ্যে।

আগামী চার বছরে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে সেখানে ৩৮ হাজারের অধিক লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান তিনি।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ।

তিনি বলেন, “আজকের এই চুক্তি কেবল সাদা কাগজের অঙ্গীকার নয়, এর মাধ্যমে একটি স্বপ্নযাত্রা শুরু হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে আমাদের যে স্বপ্ন তার একটি শ্রীহট্ট। অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিদেশিরা এক জায়গা থেকে সব কিছু পেয়ে যাবে।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বেজার নির্বাহী সদস্য এম এমদাদুল হক, ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বক্তব্য দেন।