পোশাক শ্রমিকদের জন্য শুক্র, শনিবার ব্যাংক খোলা

ঈদের আগে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2017, 10:32 AM
Updated : 20 June 2017, 10:32 AM

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ও শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই শাখাগুলোতে লেনদেন চলবে বলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ঈদ সামনে রেখে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত ‘তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধ ও রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার স্বার্থে’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাক শিল্প এলাকার তফসিলি ব্যাংকের কেবলমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণপূর্বক ২৩ জুন শুক্রবার অর্ধদিবস এবং ২৪ জুন শনিবার পূর্ণ দিবস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের এক সার্কুলারের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এটিএম বুথে রাখতে হবে পর্যাপ্ত টাকা

তফসিলি ব্যাংকগুলোকে দেওয়া আলাদা নির্দেশনায়, ঈদুল ফিতরের সময়ে ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পাশাপাশি এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) বুথে সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুততম সময়ে সমাধান করতে হবে।বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সার্বক্ষণিক সেবার পাশাপাশি পিওএসের ক্ষেত্রে জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট ও গ্রাহককে সচেতন হতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিক্তিক ‘কার্ড নট প্রেজেন্ট’ লেনদেনের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিক্যাশন  (2 FA) ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সব ব্যাংক এবং তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এক্ষেত্রে যে কোনো অংকের লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সব ধরনের পরিশোধ সেবার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সতকর্তা অবলম্বনে প্রচার চালাতে হবে।

গ্রাহকদের সার্বক্ষণিকভাবে হেল্পলাইনে সহায়তা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।