দুটি পাহাড়ের মধ্যে সংযোগকারী সেতুটির গোড়ায় বাম পাশে পাহাড়ের একাংশ গাছসহ লেকের পানিতে ধসে গেছে। সেতু পার হয়ে সামনে এগুলেই পাহাড়ের সিঁড়ির পাশে ধসে পড়া পাহাড়।
সেতুর উপর দাঁড়িয়ে পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকার আশেপাশের পাহাড়গুলো দেখলে মনে হবে কেউ যেন সেগুলো খাড়াভাবে কেটে ন্যাড়া করেছে।
রাঙামাটিতে ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহতম পাহাড় ধসে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাদ যায়নি ঝুলন্ত সেতু এবং এর আশেপাশের এলাকা।
কমপ্লেক্স এলাকার শুরুতেই নতুন মোটেল, পরে পুরাতন মোটেল এবং এর সাথেই লাগোয়া ঝুলন্ত সেতু।
সেতু পার হয়ে পাহাড়ে উঠতে গেলেই সিঁড়ির দুটি অংশে পার্শ্ববর্তী পাহাড় বেশ বড় জায়গা নিয়ে ধসে গেছে। সেখানে লাল পতাকা দিয়ে কমপক্ষে তিনটি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ পর্যটন কমপ্লেক্স পরিচালিত ‘পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের’ ব্যবস্থাপক অলক বিকাশ চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন মোটেলের পাশে, সেতুর প্রবেশ মুখের গোড়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানেও ধস হয়েছে।
২০ টাকার টিকেট কেটে ঢুকতে হয় ঝুলন্ত সেতু এলাকায়। দুই ঈদ, পূজা ও সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচশ জন দর্শনার্থী আসেন এই এলাকায় ঘুরতে।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র ছয়জন দর্শনার্থী এসেছেন বলে জানান পর্যটন কমপ্লেক্সের টিকেট বিক্রির দায়িত্বে থাকা একজন।
তারা বলছেন, বর্ষায় পর্যটকের সংখ্যা কম হলেও এবার পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রাণহানি হওয়ায় লোকজন একেবারেই নেই।
রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এবার ঈদের ছুটিতে প্রত্যাশিত পর্যটক মিলবে না বলে মনে করছেন পর্যটন করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, অন্যান্য বার ঈদের ছুটিতে রাঙামাটি পর্যটন মোটেলের কক্ষের ৮০ শতাংশেই পর্যটক থাকে। এবারও ৭০ শতাংশ বুকিং আছে, কিন্তু কত জন আসবেন, তা বলা মুশকিল।
তবে ব্যবস্থাপক অলক চাকমা আশাবাদী, সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন হলে পর্যটকরাও আসবেন।
সওজ রাঙামাটি অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে সড়কটি হালকা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা যেতে পারে।
তবে আগামী সপ্তাহের ঈদের আগে সড়কটি ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার আশা দিতে পারছেন না তিনিও।