ঈদের আগে চিনি-সেমাইয়ের দামে ‘স্বস্তি’

রোজার শুরুতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠা চিনির দাম ঈদের আগে কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে; অন্যদিকে দুয়েকটি মসলার দাম কিছুটা বাড়লেও গত বছরের দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন রকম সেমাই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2017, 10:19 AM
Updated : 16 June 2017, 12:10 PM

শুক্রবার ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো পণ্যের দামই অস্বাভাবিক বাড়েনি। ফলে এবার স্বস্তিতে ঈদ পালন করা যাবে- এমনটাই আশা করা যায়।

ঢাকার নিউ মার্কেট ও কারওয়ান বাজারে চিনির ৫০ কেজির বস্তা ২৯শ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। খুচরায় খোলা চিনি পাওয়া যাচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়।

নিউ মার্কেটের নিউ সোনারবাংলা স্টোরের বিক্রয়কর্মী ফারুক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোজার শুরুতে চিনির বস্তা ৩৩শ টাকায় পৌঁছলেও এখন তা কমে ২৯শ টাকায় এসেছে। খুচরায় এখনও ৬৮ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি হলেও ধীরে ধীরে তা কমে ৬৫ টাকায় নামবে।

খুচরা মুদি দোকানে বনফুল, কুলসুন, প্রাণ, প্রিন্স, কিশোয়ান, ডেনিশ, প্রিন্স ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রাম লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর ৫০০ গ্রামের স্পেশাল লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারে সেমাইয়ের একাধিক পাইকারি বিক্রেতা জানান, গত বছরের দামেই এবার সেমাই বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে কোনো পণ্যের দামই বাড়েনি।

ঢাকা ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক আব্দুল হকের মতে, সেমাইয়ের দাম ও সরবরাহ দুটো সঠিকভাবে চলছে। তবে ঈদ সংশ্লিষ্ট কিছু মসলা আর চিনির দাম উঠানামা করছে।

কারওয়ান বাজারে মসলার দোকান দেওয়ান এন্টারপ্রাইজের বিক্রয়কর্মী ইউনুস জানান, মসলার বাজার প্রায় স্বাভাবিক। দু একটি মসলার দাম কিছুটা বেড়েছে। এটা রোযা উপলক্ষে নয়; অন্য সময়েও মাঝে মধ্যে এমন হয়ে থাকে। আবার ঠিক হয়ে যায়।

বাজারে কিসমিস ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ২৬০ টাকা মূল্যের এক প্রকার কিসমিসের দাম ২০ টাকা বেড়ে ২৮০ টাকায় পৌঁছেছে।

এছাড়া ১৩শ টাকা, ১৩৫০ টাকা, ১৩৮০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি এলাচ। ১৭শ টাকা কেজিতেও ভালো মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে।

আলু বোখারার দাম কিছুটা বেড়েছে। ৪২০ টাকার আলু বোখারা বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়।

কালো কাঠ বাদাম ৬৩০ টাকায়, সাদা কাঠ বাদাম ৭৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কাজু বাদাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৮৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরার কেজি ৩৬০ থেকে ৭০ টাকা।

ঢাকার মৌলভী বাজারে মসলার পাইকারি দোকান হেদায়েত অ্যান্ড ব্রাদার্সের বিক্রয়কর্মী মাসুম বিল্লাহ জানান, কিছু মালের দাম কমছে, আবার কিছু মালের দাম বেড়েছে। সব মিলিয়ে মসলার বাজার স্বাভাবিকই বলতে হচ্ছে।