গ্রাহকের বাড়তি সিম বন্ধ করবে বিটিআরসি

গ্রাহক স্বেচ্ছায় নিজ নামে নিবন্ধিত ২০ এর বেশি সিম বন্ধ না করলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি নিজ উদ্যোগে তা বন্ধ করে দেবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2017, 10:12 AM
Updated : 14 June 2017, 10:12 AM

আগামী জুলাই থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী।

বুধবার সচিবালয়ে ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এমদাদ উল বারী বলেন, “এখন পর্যন্ত যে সিমগুলো বিক্রি হচ্ছে, সিমগুলো এনআইডি তথ্যভাণ্ডারের সাথে ভেরিফাই করে সরাসরি বিক্রি করছে। ইচ্ছা করলে আমরা চেক করতে পারছি। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে জানার সুযোগ ছিল না।

“সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’ শুক্রবার শুরুর পর সব সিমের বিক্রির অনলাইন রেকর্ড থাকবে। এর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারব কোন এনআইডির বিপরীতে কোন অপারেটর কতগুলো সিম বিক্রি করছেন।”

বৃহস্পতিবার রাতে ডাটা মাইগ্রেশনের কাজ শুরু করা হচ্ছে জানিয়ে বারী বলেন, “এত সময় লাগবে ১৮ ঘণ্টা। শুক্রবার সকালে হয়তো কোথাও কোথাও নতুন সিম বিক্রি ব্যাঘাত ঘটতে পারে। দুপুরের পর ঠিক হয়ে যাবে। তারপর থেকে আমরা অনলাইনে যাব।

“প্রত্যেক অপারেটরের সাথে আলাদা আলাদা করে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মাস খানেক এই জিনিসটা দেখে সিস্টেম স্ট্যাবিলাইজ হয়ে গেলে অতিরিক্ত সিম যাদের আছে সেগুলো ডিঅ্যাক্টিভ করা হবে।”

নিয়ম অনুযায়ী, একজন গ্রাহক প্রিপেইড পাঁচটিসহ মোট ২০টি সিম রাখতে পারে।

বারী বলেন, “এই সিস্টেম হলে দেখতে পারব একটি এনআইডির বিপরীতে ২০টির বেশি সিম আছে কিনা। প্রত্যেক গ্রাহককে তথ্য দেওয়া হবে ২০টির বেশি সিম থাকলে ডিঅ্যাক্টিভেট করতে হবে। না করলে আমাদের ফোর্সলি ডিঅ্যাক্টিভেট করতে হবে।”

আগামী শুক্রবার থেকে এ প্ল্যাটফর্ম চালু হলে বিটিআরসি’র সম্মতির উপর নির্ভর করবে নতুন সিম নিবন্ধন। ২০১৫ নভেম্বর থেকে বায়োমেট্রেক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর অপারেটররা গ্রাহকের এনআইডি যাচাই করে সিম নিবন্ধন করে আসছে।

যেভাবে কাজ করবে মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম

>> বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে যে কোনো অপারেটরের সিম কিনতে চাইলে অপারেটরদের সেই তথ্য যাবে বিটিআরসির সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমে।

>> সিস্টেম এনআইডি এর সাথে যাচাই করে দেখবে গ্রাহকের এনআইডির বিপরীতে কয়টি সিম রয়েছে (নিয়ম অনুযায়ী সব অপারেটর মিলিয়ে ২০টির বেশি সিম রাখতে পারেন না একজন গ্রাহক) এবং জানিয়ে দেবে সিম নিবন্ধন করা যাবে কি যাবে না।

>> অপারেটর তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে সিমটি ভেরিফাই ও নিবন্ধন করবে।

যে সুবিধা পাওয়া যাবে

>> প্রত্যেক এনআইডি এর বিপরীতে সব অপারেটর মিলিয়ে এক গ্রাহকের কয়টি সিম রয়েছে তা জানা যাবে।

>> প্রতিটি বিক্রির আগে ছাড় (ক্লিয়ারেন্স) দিতে পারা যাবে যে এই এনআইডির বিপরীতে সিম বিক্রি করা যাবে কি-না?

>> মোবাইল গ্রাহক নিয়ে পরিসংখ্যান দেওয়া সহজ হবে।

>> কোন ডাটা নিয়ে সন্দেহ হলে বিটিআরসি তা যাচাই করে নিতে পারবে।

এমদাদ উল বারী জানান, গত ৩০ মে নাগাদ সব অপারেটর মিলিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন সিমে ১৩ কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ অন্যরা ‍উপস্থিত ছিলেন।