‘এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে’ যাচ্ছে পোস্ট অফিস

বাণিজ্যিকভাবে ‘পোস্ট অফিস ব্যাংকিং’ চালু করতে না পারলেও খুব শিগগিরই এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা শুরু করতে যাচ্ছে ডাক বিভাগ।

শামীম আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2017, 12:39 PM
Updated : 13 June 2017, 12:39 PM

ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাগুলোতে এ সুবিধা দিতে সেসব এলাকার ডাকঘরে এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী দুই মাসের মধ্যে ডাকঘরগুলোতে এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু করা হবে।”

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জন্য কয়েকটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু করতে সরকারি কয়েকটি ব্যাংকের সাথে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এ বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে।

“সরকারি ব্যাংকগুলোর সাথে এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু করার পরপরই বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সাথেও এ সেবা শুরু করা হবে।”

ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা এলাকাগুলোয় বৈধ এজেন্সি চুক্তির মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম এজেন্ট ব্যাংকিং হিসেবে পরিচিত। প্রথাগত ক্যাশিয়ার বা টেলারের বাইরে চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকের হয়ে এজেন্টের আউটলেট বা কার্যালয়ে এই ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানো হয়।

ব্যাংকগুলোর আগ্রহে প্রয়োজনে প্রতিটি ডাকঘরেই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা শুরু করা হবে জানিয়ে এর মাধ্যমে ডাক বিভাগের আয় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

গত ডিসেম্বরে ডাক বিভাগ থেকে লাভের মুখ দেখতে বাণিজ্যিকভাবে ‘পোস্ট অফিস ব্যাংকিং’ চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

ডাক বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সেই চিঠিতে এখনো কোন সায় বা সম্মতি পায়নি ডাক বিভাগ।

>> সারাদেশে নয় হাজার ৮৮৬টি ডাকঘর রয়েছে ডাক বিভাগের; কর্মী রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার।

>> মানি অর্ডার, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার, পোস্টাল অর্ডারের মত আর্থিক সেবার পাশাপাশি ডাক বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব সেবা, জীবন বীমা ও সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানোর সেবা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

>> এক সময় লাভজনক হলেও রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানটি গত দুই অর্থবছরে গড়ে ২০০ কোটির বেশি টাকা লোকসান দিয়ে আসছে।

>> বাংলাদেশে এখনও ৭০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে রয়েছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বলছে, ‘পোস্ট অফিস ব্যাংকিং’ এর অনুমোদন পেলে ক্ষুদ্র সঞ্চয় গ্রহণ, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, এসএমই অর্থায়ন, পল্লী জনগণকে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার মত কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

পোস্ট অফিসকে লাভজনক করতে বিভিন্ন উদ্যেগে নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “আমি আশাবাদী, ডাক বিভাগ লাভজনক অবস্থায় যাবে।

“মাস্টার কার্ড এবং ভিসার সাথে কথা হয়েছে, প্রবাসী রেমিটেন্স ডাক বিভাগের মাধ্যমে আসবে, আমরা সেই টাকা একেবারে গ্রাহকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেব, তারা নিবন্ধন ফিতেও ছাড় দেবে,” বলেন তিনি।

ছিটমহলগুলোতে ক্রমান্বয়ে পোস্ট ই-সেন্টার চালু করা হবে বলেও জানানা তারানা হালিম।