জাতীয় সংসদে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (অ্যাপটা) দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভারত ও চীনসহ সাতটি দেশে অ্যাপটার আওতায় বাংলাদেশের ৪ হাজার ৬৪৮টি পণ্য অ্যাপটায় শুল্ক সুবিধা পেয়ে আসছিল। দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রস্তাব সদস্যভুক্ত দেশগুলো অনুসমর্থন করলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১০ হাজার ৬৭৭টি।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাপটার সাতটি দেশের মধ্যে ভারত ৩ হাজার ৩৮১টি, চীন ২ হাজার ৩৭২টি এবং দক্ষিণ কোরিয়া ২ হাজার ৩৭২টি বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক সুবিধা দেবে।
“৫ থেকে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে, পণ্যভেদে শুল্ক ছাড়ের হার একেক রকম।”
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর অ্যাপটার দ্বিতীয় সংশোধনীর খসড়ায় অনুমোদন দেয় বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা। সবগুলো দেশ এই সংশোধনীতে সায় দেওয়ায় বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তিতে সপ্তম দেশ হিসেবে মঙ্গোলিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৭৫ সালে ব্যাংককে স্বাক্ষরিত একটি বাণিজ্যকে ২০০৫ সালে অ্যাপটা নাম দিয়ে পুনঃস্বাক্ষরিত করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, লাওস ও মঙ্গোলিয়াকে নিয়ে গঠিত চুক্তিটি ‘ব্যাংকক অ্যাগ্রিম্যান্ট’ নামে পরিচিত, যার সদরদপ্তরও ব্যাংককে।