মোবাইল ফোনের শুল্ক ছাড়ের দাবি

মোবাইল ফোনের আমদানি শুল্ক এবং সরবরাহ ভ্যাট আগের মতো বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।   

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2017, 03:59 PM
Updated : 3 June 2017, 03:59 PM

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবি বাজেটে অর্থমন্ত্রী মোবাইল ফোনের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং সরবরাহ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন।

বিএমপিআইএ বলছে, মোবাইল ফোন সংযোজন শিল্পে শুল্ক ১০ শতাংশ ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট আরোপ করা হলে অবৈধভাবে ফোন আমদানি উৎসাহিত হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সংযোজনকারী শিল্প পিছিয়ে পড়বে।

শনিবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংগঠনের নেতারা একথা বলেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব।

বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শুল্ক যা আছে অর্থাৎ ৫ শতংশ রাখার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, নবম বৃহৎ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাবে বৈধ আমদানীকারকরা খুবই উদ্বিগ্ন। প্রস্তাবিত এ শুল্ক থেকে সরকার সরে না আসলে আখেরে লাভ হবে চোরাকারবারীদের। বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে সরকার।

এক বছর ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানিয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে মুঠোফোনের উৎপাদন বা সংযোজন শিল্প নেই। বিএমপিআইএর অনেক সদস্য প্রতিষ্ঠান স্থানীয় মোবাইল ফোন শিল্প স্থাপনে আগ্রহী। যেহেতু সরকার খুচরা যন্ত্রাংশের এইচএস কোড প্রণয়ন করেছে তাই মোবাইল ফোন উৎপাদনে এবং সংযোজনকারী শিল্পের জন্য নূন্যতম এক বছর সময় প্রয়োজন।

বর্তমানে ১৩ কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহকের মধ্যে সাত কোটি অর্থাৎ ৫৬ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করছে। তাই সরকার কম্পিউটার পণ্যের সঙ্গে স্মার্টফোন ডিভাইসের শুল্ক সামঞ্জস্য করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যেই দেশে মোট বিক্রির ৯০ শতাংশ মোবাইল ফোন দেশীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলেও জানানো হয়।

দেশে মোবাইল ফোন শিল্প স্থাপনের (উৎপাদন ও সংযোজন) অবকাঠামো তৈরির জন্য আগামী তিন অর্থবছর প্রস্তাবিত শুল্ক পাঁচ শতাংশ ধার্য করে আমদানির ক্ষেত্রে অন্তত এক বছর শুল্ক ও ভ্যাট নীতিমালা যা আছে তা রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএমপিআইএর সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া শহীদ জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার ও এক বছর ভ্যাট অব্যাহতির জন্য তারা ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই, সরকারের আইসিটি বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগেও যোগাযোগ করবেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য দেন বিএমপিআইএর যুগ্ম সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন, পরিচালক রেজওয়ানুল হক, সহ সভাপতি আমিন উর রশিদ, রকিবুল কবির ও যুগ্ম সম্পাদক জয়নাল আবেদিন।