জনকল্যাণমুখী বাজেট: বিজিএমইএ

প্রত্যাশা মতো প্রাপ্তি না থাকলেও প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অভিনন্দন জানিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2017, 05:41 PM
Updated : 1 June 2017, 05:41 PM

এই বাজেটকে জনকল্যাণমুখী বাজেট অভিহিত করেছে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

রাতে বিজিএমইএর সচিব এ কে এম ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিজিএমইএ মনে করে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট জনকল্যাণমুখী বাজেট। এ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য বিজিএমইএ অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

“বাজেট প্রস্তাবনায় অবকাঠামোখাত পদ্মাসেতু, রাস্তাঘাট নির্মাণকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ আশা করে, এ প্রকল্পগুলো  যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হবে। বিদ্যুৎখাতে যেসব স্বল্পমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, সেগুলো যত্ন সহকারে বাস্তবায়িত হবে বলে বিজিএমইএ আশাবাদী। কারণ, শিল্পে এখন ব্যাপক গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট চলছে। বিজিএমইএ আশা করে, আগামীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।”

প্রস্তাবিত বাজেটে অগ্নি-নির্বাপক ও ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমের বিভিন্ন পণ্য রেয়াতি হারে শুল্কায়নের সুবিধা  দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজিএমইএ নেতারা মনে করেন, এটি নিরাপদ শিল্প গঠনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে।

বাজেটে নিজেদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কথা জানিয়ে বিজিএমইএ বলছে, “বাজেটে পোশাক শিল্পে নগদ সহায়তার বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি। পোশাক খাতের পক্ষ থেকে দাবি ছিল, আগামী ২ বছরের জন্য উৎসে কর সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা, আগামী পাঁচ বছরের জন্য কর্পোরেট করের হার হ্রাস করে ১০ শতাংশ করা এবং আগামী ২ বছরের জন্য পোশাক রপ্তানির এফওবি মূল্যের উপর প্রচলিত সুবিধাগুলোর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা (যা শুধু বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে)।”

বর্তমানে পোশাক শিল্প একটি ‘ক্রান্তিলগ্ন’ অতিক্রম করছে বলে বরাবরের মতো বাজেটকেন্দ্রিক এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বিজিএমইএ।

“পণ্যের অব্যাহত দরপতন, বছরে গড়ে ৮ শতাংশ হারে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, রিমেডিয়েশন বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি ও সর্বোপরি প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে বাজার ধরে রাখার সংগ্রামের ফলে পোশাক শিল্পের সক্ষমতা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে।”

এ পরিস্থিতিতে বিজিএমইএ আশা করেছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ সুসংহত করা ও এ শিল্পের বিকাশে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ, পোশাক শিল্পের জন্য প্রণোদনা আকারে সহায়তা দেওয়া হবে।