বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রাহকরা যাতে সহজ, নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সহজ উপায়ে অনলাইনে কেনাকাটা ও লেনদেন করতে পারে তা নিশ্চিতে এই সেবা চালু করা হয়েছে।
এর ফলে এখন থেকে ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডধারীরা অনলাইনে বিভিন্ন সেবা ও পণ্যসামগ্রী কিনে দাম পরিশোধ ও ব্যবসায়িক লেনদেনের সুযোগ পাবেন বলে জানান ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করা এসইবিএলের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের সহযোগিতায় চালু হওয়া পেমেন্ট গেটওয়েটিকে প্রযুক্তিগতভাবে ‘সর্বাধুনিক’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “প্রশ্ন আসতে পারে আমরা কেন নিজেরা পেমেন্ট গেটওয়ে চালু না করে মাস্টারকার্ডের সহায়তা নিলাম? উত্তর হল, এটি খুবই নিরাপদ। ফলে জালিয়াতির কোনো ভয় নেই।
“অনলাইনে কার্ডে পেমেন্ট করা নিয়ে মানুষের মনে ভীতি কাজ করে, আশা করি এই সার্ভিস ব্যবহার করে তাদের ভীতি কমে আসবে।”
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ কামাল বলেন, “এটি আমাদের পেমেন্ট গেটওয়ে সল্যুশনের সর্বাধুনিক ‘ভার্সন’, যা জনপ্রিয় অনলাইন বাজার আমাজন, ফ্লিপকার্ট, ই-বে থেকে শুরু বিশ্বের সব বৃহৎ মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে থাকে।”
তিনি জানান, চালু হওয়া নতুন এই গেটওয়েতে সর্বোচ্চ দ্রুতগতি সম্পন্ন ‘প্রোসেসিং নেটওয়ার্ক’ ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেশের ই-কমার্স খাতকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা বলেন, “আমাদের দেশে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডধারীর সংখ্যা যথাক্রমে প্রায় নয় লাখ ও এক কোটি দুই লাখ, কিন্তু গত বছর অনলাইনে লেনদেন হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা, যা ২০-৩০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে আসার সুযোগ আছে।”
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “সমস্ত ব্যাংক, ব্যবসায়ী ও স্টেকহোল্ডারদের এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে শিগগিরই ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে’ চালু করা হবে। পুরো অর্থনীতি এক গেটওয়েতে যাবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ছাড়াও এসইবিএল ও মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।