চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম্স বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ব্যাংককে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে।
দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এ নির্দেশনায় ইলেকট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থায় গ্রাহকের অংশগ্রহণ সহজ করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার তরান্বিত করতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। দেশের পেমেন্ট, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমকে আধুনিক, নিরাপদ, দক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক প্রসেসিং সিস্টেমের কার্যক্রম শুরু করে।
তবে অনেক ব্যাংক শাখারই এ পদ্ধতিতে লেনদেন সম্পাদনের সক্ষমতা নেই উল্লেখ করে সার্কুলারে বলা হয়, ফলে এ সকল ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। এ কারণে গ্রাহক পর্যায়ে এ ব্যবস্থার সুফল পুরোপুরি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ কারণে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের সব শাখা থেকে ইএফটি ও আরটিজিএস লেনদেন সংক্রান্ত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এই সেবা দিতে সক্ষম শাখাগুলোর সম্মুখে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন কোনো স্থানে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে সচেতনতামূলক ব্যানার প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া ইএফটি ও আরটিজিএস সেবাদাতা সব শাখার ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের এ ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।