বড় পরিসরে আমান সিমেন্ট

দৈনিক ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং বছরে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতার দ্বিতীয় কারখানা চালু করেছে আমান গ্রুপের আমান সিমেন্ট মিলস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2017, 12:55 PM
Updated : 22 May 2017, 12:55 PM

ঢাকার বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশস সেন্টারে রোববার আমান সিমেন্ট মিলস ইউনিট-২ লিমিটেডের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগঁওয়ে আমান ইকোনমিক জোনে স্থাপিত এই কারখানাটিকে একক ইউনিট হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষম কারখানা বলে দাবি করছে আমান গ্রুপ।

আমান গ্রুপের জনসংযোগ শাখার পরিচালক রবিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমান ইকোনমিক জোনে জার্মানির আলট্রা মডার্ন ভিআরএম উৎপাদন প্রযুক্তিতে নির্মিত এ কারখানায় রয়েছে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উৎস থেকে এ কারখানার কাঁচামাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সালে রাজশাহীতে প্রথম সিমেন কারখানা চালু করে আমান গ্রুপ। পরে সেই কারখানা ২০০৩ সালে সিরাজগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়। সিরাজগঞ্জের ওই কারখানাটি এতদিন দৈনিক সাড়ে সাড়ে সাতশ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে চলছে।

আমান সিমেন্ট মিলস ইউনিট-২ চালুর ফলে দেশীয় চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি নেপাল, ভূটানসহ পাশের দেশগুলোতে রপ্তানি করা হবে বলে জানান রবিউল। এছাড়া দেশে এতদিন যে পরিবেশক ছিল তাদের সংখ্যাও আরও বাড়ানো হচ্ছে।

বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে সিমেন্টসহ বিভিন্ন শিল্প বিকশিত হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সরকার দেশকে বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। বিশ্বের বড় বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করছে।

আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বহুমুখী শিল্প উৎপাদনের মাধ্যমে আমান গ্রুপ জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখে আসছে।

পাশাপাশি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনেও এই প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখছে। এরই ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু হলো দেশের বৃহত্তর সিমেন্ট কারখানা।

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ১৫০ একর এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা আমান ইকোনমিক জোনে এরই মধ্যে আমান সিমেন্ট মিলস, আমান প্যাকেজিং, আমান শিপ ইয়ার্ড, আমান ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, একিন ফিড, আমান গ্রিন এনার্জিসহ আরও কয়েকটি কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।

দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য আমান ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ সুবিধা রয়েছে বলেও জানান তিনি।