রোববার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) এক সেমিনারে তিনি বলেন, “বিজ্ঞানীদের সাথে শিল্পোদ্যোক্তা এবং সাধারণ মানুষের সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা ও পণ্য উদ্ভাবন করা এটাই সত্যকারের উন্নয়ন।”
ঔষধ শিল্প, তৈরি পোশাক, কৃষি, মৎস্য, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য বিসিএসআইআর ‘সর্বক্ষেত্রে প্রস্তুত’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের আইএফআরডি মিলনায়তনে ‘টেকসই প্রযুক্তি উন্নয়ন ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাইলট প্ল্যান্ট অ্যান্ড প্রসেস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (পিপি অ্যান্ড পিডিসি) ভূমিকা’ শীর্ষক এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, “বিসিএসআইআর এর অর্জন অনেক। আমরা ল্যাব বেইজড অনেকগুলো উপায় উদ্ভাবন করেছি। আমরা পাইলট প্ল্যান্ট স্টাডির মাধ্যমে শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন উপযোগী উপায় উদ্ভাবন ও ইজারা দিতে পারব।”
বিসিএসআইআর শিল্পোদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা করতে ‘সক্ষম’ বলেও দাবি করেন ফারুক আহমেদ।
পিপি অ্যান্ড পিডিসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রূপেশ চন্দ্র রায় তার মূল প্রবন্ধে ন্যানো টেকনোলজি, হার্বাল প্রোডাক্ট, ফুড প্রোডাক্ট ও মেটালার্জিসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন।
এই সেমিনারে বিসিএসআইআর-এর গবেষণা কর্মকাণ্ডসহ পিপি অ্যান্ড পিডিসি উদ্ভাবিত পণ্য প্রদর্শন এবং এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষৎ করণীয় সম্পর্কে শিল্পোদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। পরে শিল্প প্রতিষ্ঠায় পাইলট প্ল্যান্ট স্টাডির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং উদ্যোক্তাসহ বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।