চেয়ারম্যান আরাস্ত খানের সঙ্গে রেষারেষির মধ্যে শনিবার নয়জন পরিচালকের একটি যুক্ত বিবৃতি সরবরাহ করে একথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।
আহসানুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যাংকটির ২১ জন পরিচালকের মধ্যে নয়জন বিবৃতিতে সই করেছেন। এছাড়াও তিন জন বিদেশে রয়েছেন, যারা এ্ই বিবৃতিতে একমত পোষণ করেছেন।
জামায়াতে ইসলামীর আর্থিক মেরুদণ্ড বলে পরিচিত দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংকটিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টার মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে নিয়োগপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য।
গত জানুয়ারিতে সাবেক অতিরিক্ত সচিব আরাস্তু খানকে চেয়ারম্যান, অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলমকে ভাইস চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদেও পরিবর্তন আসে।
আহসানুল আলমের অভিযোগ, ইসলামী ব্যাংকে জামায়াত সমর্থকদের শক্তি সংহত হচ্ছে এবং তাতে সরকারের অনানুষ্ঠানিক উদ্যোগটি ভেস্তে যেতে পারে।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান আরাস্ত খান গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আহসানুল হকের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।
আহসানুল শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আরাস্তু খান ‘মিথ্যাচার’ করেছেন।
তার পক্ষে বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ মে পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সৈয়দ আহসানুল হকসহ অন্য পরিচালকদের পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হয়।
“তারা (সদস্যরা) এই হীন বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রের নেপথ্য শক্তিকে বের করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।”
‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের পরিচালকদের’ সরাতে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “কোনো পরিচালককে হুমকির মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে বহু সম্মানিত পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করবেন।”
“আহসানুল আলম পারভেজ চাইলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন। তার থাকা বা পদত্যাগ নিয়ে ব্যাংকের ভেতর থেকে কোনো চাপ নেই।”
গত ১১ মে সৈয়দ আহসানুল আলমের একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ হতে থাকে। তল্লাশির প্রতিবাদে বিএনপিকর্মীরা