আপনের পাশে জুয়েলার্স সমিতি

ধর্ষণের মামলায় ছেলে আসামি হওয়ার পর আপন জুয়েলার্সের মালিকের ‘অবৈধ অর্থের’ সন্ধানে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানে পাঁচটি বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি।

অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2017, 01:43 PM
Updated : 18 May 2017, 01:36 PM

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অভিযানের পরদিন সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির প্রতিবাদের কথা জানান জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি গঙ্গা চরন মালাকার ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত রোববার কোন নোটিস ছাড়াই শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ আপন জুয়েলার্সের ৫টি শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছে। এতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে পাঁচ হাজার মানুষের ভরণ পোষণের দায়ভার কে নেবে?”

রোববার সমিতির জরুরি সভা থেকে অবিলম্বে আপন জুয়েলার্সের শো-রুম গুলো খুলে দেওয়ার পাশাপাশি এই ‘হয়রানিমূলক’ অভিযান বন্ধের দাবি জানানো হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের পক্ষে দাঁড়িয়ে জুয়েলার্স সমিতি বলেছে, “সমিতির জানামতে আপন জুয়েলার্স বাংলাদেশ সরকারের সকল নিয়ম কানুন মেনে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।”

এদিকে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, তারা আপন জুয়েলার্সের কোনো বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ করেননি।

পূর্ণাঙ্গ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় স্বর্ণালঙ্কার এবং হীরা আটক করার পর স্থানীয় দোকান মালিক সমিতি, জুয়েলার্স সমিতির প্রতিনিধির অনুরোধে এবং স্বাক্ষরে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।”

দিলদারের বড় ছেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে গত ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে গত ৬ মে মামলা হয়।

মামলার পর আপন জুয়েলার্সের মালিকের অবৈধ সম্পদ নিয়ে আলোচনা ওঠার পর ‘পাবলিক ডিমান্ড’ হিসেবে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়।

রোববার ঢাকায় আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিনশ কেজি সোনা ও হীরার গহনা আটকের কথা জানায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

মইনুল খান বলেন, আপন জুয়েলার্সে ‘ব্যাপক অনিয়ম, চোরাচালান এবং অবৈধ অর্থ সরবরাহের’ প্রমাণ তার পেয়েছেন। অভিযানের সময় স্বর্ণালঙ্কার এবং হীরার বিপরীতে তারা যথেষ্ট কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

গহনা আটক সাময়িক জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব স্বর্ণালঙ্কার এবং হীরার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ১৭ মে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখাতে পারলে কোনো সমস্যা নেই। আর না পারলে শো রুম থেকে নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”