আড়ংয়ের ঈদ ফ্যাশন শো

আসছে ঈদ-উল ফিতরে নানা রংয়ের বাহারি পোশাকের সমাহার ঘটাচ্ছে আড়ং; শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের জন্য ঈদের কালেকশন নিয়ে জমজমাট ফ্যাশন শো করেছে দেশীয় এ ব্র্যান্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2017, 05:08 PM
Updated : 13 May 2017, 05:08 PM

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল র্যা ডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের বলরুমে হয় এ ফ্যাশন শো। 

সালওয়ার কামিজ, শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তা, দোপাট্টার পাশাপাশি আড়ংয়ের ‘উইমেন কালেকশনসে’ যোগ হয়েছে নতুন পোশাক ‘তাগা’।

উৎসবে পুরুষের প্রধানতম ফ্যাশন অনুষঙ্গ পাঞ্জাবির ক্যাজুয়েল ও এক্সক্লুসিভ সব কালেকশনসের উপস্থাপনাও ছিল ফ্যাশন শোতে।

বলরুমে আম-জাম-কাঠাল, অশ্বত্থে ছিল ফ্যাশন শোয়ের ব্যতিক্রম মঞ্চসজ্জ্বা। এখানে ওখানে ছোট জলাধার, গাছের মগডালে বাসা বেঁধেছে পাখি, ঝোঁপে ছুটে বেড়াচ্ছে।

গ্রামীণ আবহের এমন পরিবেশে গাছের ফাঁকে বাঁকা র্যা ম্প ধরে মডেলরা এক কিউতে তুলে ধরেন ক্যাজুয়েল আর এক্সক্লুসিভ সালোয়ার কামিজ, কুর্তা আর গহনার সব পসরা। খাদি ও হ্যান্ডলোম কটনে অ্যাপ্লিক, এমব্রডায়েড ও প্রিন্টেড সালওয়ার কামিজে দেখা যায় নানা রং।

জয়শ্রী সিল্কে ইরি এমব্রডায়েড ছাড়াও ফুকসিয়া ওয়াক্স ডাইড, সেইজ গ্রিন ওয়াক্স ডাইড, হোয়াইট প্রিন্টেড টাইডাই কটন সালওয়ার কামিজও রয়েছে এ কালেকশানে। ঈদ উপলক্ষে টাই ডাই, এমব্রডায়েড ও লিনেন কুর্তাও মিলবে আড়ংয়ে।

কটন, খাদি কটনের প্রিন্টেড জর্জেট ও লিনেন টপসের সঙ্গে পাওয়া যাবে টাইডাই ও এমব্রডায়েড শর্ট কোট। মিলবে প্রিন্টেড ও টাইডাই টিউনিক।

শাড়ির সঙ্গে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে আড়ংয়ে পাওয়া যাবে গোল্ড প্লেটেড, পার্ল ও সিলভার জুয়েলারি।

এবার গরমের দিকটি বিবেচনায় রেখে আড়ং শাড়ি কালেকশনে প্রাধান্য দিয়েছে সুতি শাড়ির। নানা রংয়ের প্রিন্টেড সুতির শাড়ির সঙ্গে কালেকশনে থাকছে টাইডাই অ্যান্ড অ্যাপ্লিক কটন শাড়ি। যারা মসলিন পছন্দ করেন, তাদের জন্য রয়েছে অ্যাপ্লিক, এমব্রডায়েড ও আইভরি স্ট্রাইপড মসলিন শাড়ি।

বিভিন্ন রংয়ের জামদানির পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী নকশি কাঁথার নকশাকেও শাড়িতে তুলে এনেছে আড়ং। টাইডাই ও টু টোন নকশি কাঁথার প্রাধান্য দেখা যায় কিছু শাড়িতে।

কটন ও অ্যান্ডি কটনের পাঞ্জাবিতে রয়েছে এমব্রডায়েড ও অ্যাপ্লিকের কাজ। এবারের কালেকশনে মিলবে হাফ সিল্কের পাঞ্জাবি।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বাপ্পা মজুমদার ও তার দল দলছুট। পরে আসে ব্যান্ডদল চিরকুট।