আবাসনে অপ্রদর্শিত আয়ের শর্তবিহীন বিনিয়োগ চায় রিহ্যাব

ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ব্যয় কমিয়ে আনাসহ আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত আয়ের শর্তবিহীন বিনিয়োগে সুযোগ চেয়েছে রিয়েল এস্টেট হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2017, 12:34 PM
Updated : 13 May 2017, 12:34 PM

এছাড়া রডের উপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১.৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন রিহ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া।

লিয়াকত আলী বলেন, “বর্তমানে আবাসন খাতে যথাযথ অর্থ প্রবাহ না থাকা ও নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা কোনো বিনিয়োগে যাচ্ছে না। ফলে আবাসন খাত সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় আবাসন খাতে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ব্যবস্থার প্রচলন ছিল। অনেকে নিজের কিছু মূলধন নিয়ে প্রায় ভাড়ার টাকায় ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এই ঋণ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে এই খাত সংকটের মধ্যে পড়ে।”

লিয়াকত আলী আরও বলেন, “এ অবস্থায় আবাসন খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ৩০ বছর মেয়াদে দীর্ঘমেয়াদী রি-ফাইন্যান্সিং চালুকরণ জরুরি, যাতে মাসিক কিস্তি বাসা ভাড়ার সমান হয়।”

ভারপ্রাপ্ত এই সভাপতি আরও বলেন, “সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থার প্রচলন একদিকে যেমন এই শিল্পকে এগিয়ে নেবে; বাজারে অর্থের লেনদেন বাড়বে, অন্যদিকে সরকারও তার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

“নামমাত্র রেজিস্ট্রেশন ব্যয় নির্ধারণ করে সেকেন্ডারি বাজার ব্যবসা প্রচলন করা জরুরি।”

সাপ্লায়ার ভ্যাট ও উৎসে কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে ডেভেলপারদেরকে অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

লিয়াকত আলী ভূইয়া বলেন, “প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রীর প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ভ্যাট সরকার পাচ্ছে ফ্যাক্টরি ও পাইকারি বিক্রেতা থেকে। ভবন নির্মাণকালে অধিকাংশ ডেভেলপার সরাসরি নগদ অর্থে বিভিন্ন প্রকার নির্মাণ সামগ্রী ও সেবা ক্রয় করে থাকে। ফলে ভ্যাট ও উৎসে কর সংগ্রহের দায়িত্ব পালন সম্ভবপর হয় না।

“এছাড়া অনেক নির্মাণ আইটেমের সরবরাহকারী প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে না; তাই এসব ভেন্ডরের কাছ থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করা যায় না। ফলে ডেভেলপাররা মারাত্মককভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় সাপ্লায়ার ভ্যাট ও উৎস কর সংগ্রহের দায়িত্ব থেকে ডেভেলপারকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, পরিচালক জহির আহমেদ,  কো-চেয়ারম্যান কামাল মাহমুদ ।