মঙ্গলবার সোনারগাঁও হোটেলে জাতিসংঘ ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইউএনসিডিএফ) আয়োজনে ‘রোল অব ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ইন প্রমোটিং ইনক্লুসিভ গ্রোথ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপারচুনিটিজ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ডেপুটি গভর্নর চৌধুরী বলেন, আর্থিক খাতের স্বচ্ছতার জন্য এমএফএসকে ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত মডেলেই পরিচালিত করা হবে, অন্য কোনো মডেলে হবে না।
এমএফএস সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সুর বলেন, “এ সেবায় গ্রাম থেকে শহরে সহজেই টাকা পাঠাতে সাহায্য করছে, এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি বড় অংশ।”
সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে উল্লেখ করে সিতাংসু কুমার সুর বলেন, “ডিজিটাল হুন্ডির জন্য প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তবে শিগগিরই এ সমস্যা কেটে যাবে।”
এমএফএস সেবায় প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করা হয় প্রবন্ধে। এছাড়া সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি), মোবাইল ফোন অপারেটর ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮টি ব্যাংকে এমএফএসকে অনুমোদন দিলেও মাত্র ১০টি ব্যাংক পুরোদমে এ সেবা দিচ্ছে বলেও প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব সংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ১১ লাখ।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য খোলা হিসাবের মাত্র ৪২ শতাংশ সক্রিয় রয়েছে বলে প্রবন্ধে বলা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান বলেন, “এমএফএসের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।”
ইউএনসিডিএফের এশিয়া অঞ্চলের সমন্বয়ক ফয়সাল হুসেইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি।
স্বাগত বক্তব্য দেন শিফট ইন বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়ক আশরাফুল আলম।
অনুষ্ঠানে এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির, ব্যাংকিংসহ অন্যান্য খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।